ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
চালের বাজারও অস্থির, কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা
আতাউর রহমান |
পেঁয়াজের পর এবার চালের বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি চিকন চালে সর্বোচ্চ দাম বেড়েছে ১০ টাকা, আর মোটা চালে ৬ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত চাল মজুদ আছে। বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। এরপরও অতি মুনাফার লোভে মিলারদের কারসাজিতে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম।
শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজার, নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮-৫০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৪২-৪৪ টাকা। নাজিরশাল বিক্রি হয়েছে ৫৫-৫৮ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৪৪- ৪৮ টাকা। বিআর-২৮ বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩৪-৩৫ টাকা। এ ছাড়া মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৩২-৩৩ টাকা।
ক্যাবের সভাপতি ড. গোলাম রহমান এ ব্যাপারে বলেন, হঠাৎ করে চালের দাম বাড়া অযৌক্তিক। কারণ দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ধানেরও বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই সরকার ও সংশ্লিষ্টদের এর কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। দাম যেন আর না বাড়ে সেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এ জন্য বিশেষভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে।
এদিন রাজধানীর পাইকারি চালের আড়ত ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ২৩০০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২১০০ টাকা। নাজিরশাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২৭৫০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২৬০০ টাকা।
বিআর-২৮ চাল বিক্রি হয়েছে দুই হাজার টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ১৮০০ টাকা। এ ছাড়া স্বর্ণা চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয় ১৭০০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১৬০০ টাকা।
আড়তদাররা বলছেন, নওগাঁ, দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোকামে যে মিনিকেট চাল প্রতি বস্তা এক সপ্তাহ আগে কিনেছেন দুই হাজার টাকা দরে। সেই চাল এখন ২২৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। নাজিরশাল প্রতি বস্তা কিনতে হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ২৪০০ টাকা ছিল। বিআর-২৮ কিনতে হচ্ছে ১৭৫০ টাকায়। যা আগে ছিল ১৬০০ টাকা। এ ছাড়া স্বর্ণা চাল প্রতি বস্তার দাম ছিল ১৫০০ টাকা। যা এখন কিনতে হচ্ছে ১৬০০ টাকায়।
দিনাজপুর জেলা চালকল মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা হুমায়ুন ফারুক জানান, বাজারে ধানের দাম অনেক বেশি। এরপরও ধান পাওয়া যাচ্ছে না। বেশি দামে ধান কেনায় চাল উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চালের দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, বাজারে সবচেয়ে বেশি চালের চাহিদা রয়েছে বিআর-২৮ ও মিনিকেট জাতের। আর এ জাতের ধানের উৎপাদন হয় এপ্রিলে। এ সময়টায় এ জাতের ধান না পাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে।
জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, হঠাৎ করে চালের দাম বেড়েছে। সারা দেশের মিল থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিশেষভাবে মনিটরিং করা হবে। অসাধুভাবে দাম বাড়ালে ভোক্তা আইনে শাস্তি দেয়া হবে।