• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

‘আমরা কার কাছে যাবো, কার কাছে বলবো’

নিজস্ব প্রতিবেদক |

আড়তদারদের সিন্ডিকেটের কারণে এবারও পথে বসেছে বহু মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী। নানা অজুহাত দেখিয়ে চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছেন পাইকারি আড়তদাররা। ফলে বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়ে পানির দামে চামড়া বিক্রি করছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা।

রোববার রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় চামড়ার পাইকারি আড়ত ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।  

একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী বলছেন, ‘চামড়া কিনে সব শেষ আমার, মাথায় টুপি পরা, যদি মিথ্যা বলি, আল্লাহ দেখছেন, একেবারে ধরা খেয়েছি। সব চামড়া লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হয়েছে। ’

কথা বলার সময় চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিলেন না এ ব্যবসায়ী। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘যে চামড়া ২ হাজার টাকায় বিক্রির কথা, সেই বড় চামড়া বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। মাঝারি চামড়া ১০০ টাকা, ছোট চামড়া ৫০ টাকা আ ছাগলের চামড়া ১০ টাকা। ’

পোস্তা পাইকারি আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, বড় চামড়া ১৫০ টাকা, মাঝারি ১০০ টাকা ও ছোট চামড়া ৫০ টাকা দরে সংগ্রহ করছেন অড়তদাররা।  

লোকমান মিয়া নামের এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা কার কাছে যাবো, কার কাছে বলবো, আল্লাহ ছাড়া বলার কেউ নেই। ’

তিনি বলেন, ‘এ পেশা ছাড়তে পারি না। ছোট বেলা থেকে এ কাজ করি। গতবছরও চামড়া কিনে ধরা খাই। এবার আরও বেশি লোকসান হয়েছে, পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না। ’ 

বাংলাদেশ ট্যানারি মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, ‘এবার কাঁচা চামড়া লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩০-৩৫ শতাংশ কম সংগ্রহ হয়েছে। করোনা ও বন্যার কারণে কম হয়েছে। ’ 

কাঁচা চামড়া রপ্তানির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেউ এক্সপার্ট না। কাঁচা চামড়া রপ্তানি করা সম্ভব না। কেউ অভিজ্ঞ না। লাইসেন্সও দরকার। সরকার পলিসি নিয়েছে, কিন্তু আমাদের উপর এপ্লাই করেনি। সরকারকে কাঁচা রপ্তানির বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। ব্র্যান্ড ও বায়ার নিয়ে আসতে হবে। বলতে হবে আমাদের এই কাঁচা চামড়া আছে। ’

ডিএন/বিএন/বিএইচ/০৫ঃ২৭পিএম/০২০৮২০২০-১০

Print Friendly, PDF & Email