ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
হাজার দিন কারাবন্দি সাংবাদিক কন্যার আবেগঘন স্ট্যাটাস
নিউজ ডেস্ক |
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার কারাবন্দি সাংবাদিক মাহমুদ হুসাইনের বাবা মঙ্গলবার মারা গেছেন। বাবার জানাজায় অংশ নিতে তাকে সুযোগ দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার।
মিসরীয় এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছাড়াই একহাজার দিনের বেশি তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
২০১৬ সালের ডিসম্বরে ব্যক্তিগত সফরে মিসরে গেলে তাকে আটক করা হয়েছিল।
গত সেপ্টেম্বরে অসুস্থ বাবাকে দেখতে চাইলে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ সেই অনুমতিও দেয়নি। মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে মাহমুদ হুসাইনের মেয়ে জারা একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দাদাকে যেন আমরা বাবা অন্তত একটি ঘণ্টার জন্য দেখার সুযোগ পান, গত দুই মাস ধরে এমন অনুরোধ করে আসছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন দাদাকে যেন কবরে রাখতে বাবাকে সুযোগ দেই, সেই অনুরোধ জানাচ্ছি সরকারকে।
মাহমুদ হুসাইনের কারাগারে যাওয়ার পর তার বাবা পাঁচবার স্ট্রোক করেছেন। পরিবার জানায়, তিনি হাঁটতে, কথা বলতে কিংবা খাবার হজম করতে পারছিলেন না।
জারা বলেন, গত দুই বছর ধরে নিজের সন্তানকে দেখতে পাননি আমার দাদা। বড় ছেলে কারাগারে থাকায় তিনি ব্যথিত ছিলেন এবং স্ট্রোক করেছেন।
মাহমুদ হুসাইনের আইনজীবী বলেন, মিসরীয় দণ্ডবিধি লঙ্ঘন করেই তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।
কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দিতে রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলির এক নির্দেশ গত মে মাসে প্রত্যাখ্যান করেন মিসরীয় আদালত।
তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ অনির্ধারিত অভিযোগের নতুন তদন্ত শুরু করেন এবং তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেয়া সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে দ্য আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক। এছাড়া তাকে অতিসত্বর মুক্তির আহ্বানও জানিয়েছে।
আল-জাজিরার মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তফা সৌগ বলেন, এক হাজার দিনের বেশি তাকে আটক করে রেখেছে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ। অথচ তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মোহাম্মদ মুরসিকে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে আল-জাজিরাকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে আসছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।