আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
মাওলানা সা’দকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দিল্লি পুলিশ
নিউজ ডেস্ক |
মাওলানা সাদ কান্ধলভিসহ ভারতের তাবলিগ জামাতের শীর্ষ সাত নেতার কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ সোমবার (১৩ এপ্রিল) শেষ হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তারা। করোনা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মারকাজ নিজামুদ্দিনে জমায়েত ও অবস্থান করায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই তদন্তের অংশ হিসেবে এবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন তাবলিগ জামাতের একাংশের প্রধান সাদ কান্ধলভি।
গত ১ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদে তাবলিগ জামাতের একটি ধর্মীয় সমাবেশ শুরু হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব ও কিরগিজস্তানের প্রতিনিধিসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ ওই আয়োজনে অংশ নেন। ১৫ মার্চ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরও অনেকে সেখানে থেকে যান। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ২৪ মার্চ ভারত জুড়ে লকডাউন শুরুর সময়ও সেখানে প্রায় দেড় হাজার মানুষের অবস্থান ছিলো।
মারকাজ নিজামুদ্দিনে অবস্থানরতদের অনেকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তাবলিগ নেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। মামলা দায়েরের পর মাওলানা সাদের সন্ধানে বেশ কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালিয়েও তার খোঁজ পায়নি পুলিশ।
পরে এক অডিও বার্তায় মাওলানা সাদ জানান, গত ২৮ মার্চ থেকে কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি। গত ৮ এপ্রিল তার আইনজীবী জানান, কোয়ারেন্টিন শেষ হলে তদন্তে অংশ নেবেন মাওলানা সাদ।
৫৬ বছর বয়সী মাওলানা সাদ কান্ধলভির বিরুদ্ধে অভিযোগ মারকাজ নিজামুদ্দিন খালি করতে পুলিশ দুই দফায় নোটিশ দিলেও তা অমান্য করে জমায়েত চালিয়ে গেছেন। গত ২৩ মার্চ সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি করোনা সতর্কতা হিসেবে সামাজিক শিষ্টাচার মেনে চলার পরামর্শকে মুসলমানদের পরস্পর থেকে আলাদা রাখার ষড়যন্ত্র আখ্যা দেন। ওই বক্তব্যের ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘মৃত্যু থেকে কোথায় পালাবেন? মৃত্যু আপনার সামনে… এটা আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়ার সময়। ডাক্তারের কথা শুনে নামাজ বন্ধ করে, পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ করে থাকার সময় নয়। হ্যাঁ, ভাইরাস আছে। কিন্তু আমার সঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতাও আছে। তারা যদি আমাকে রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে কে পারবেন?’ এর কয়েক দিনের মাথায় অপর এক অডিও বার্তায় মাওলানা সাদ জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি।
তাবলিগ জামাতের ওই সমাবেশে অংশ নেওয়া এবং তাদের সংস্পর্শে আসা প্রায় ২৫ হাজার পাঁচশো মানুষ এখনও ভারতের বিভিন্ন স্থানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।