আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সংস্থাটির বিরুদ্ধে ‘চীনমুখীতার’ অভিযোগ এনে অর্থায়ন বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সত্যি সত্যিই সে পদক্ষেপ নিলেন তিনি।

বিবিসি বলছে, ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার প্রশাসনকে অর্থায়ন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ডব্লিউএইচও’র ভূমিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছি। বিষয়টি যাচাই না করা পর্যন্ত অর্থ সহায়তা বন্ধের নির্দেশ প্রশাসনকে দিয়েছি।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারিতে আক্রান্ত ও মৃতের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র যখন অন্য যেকোনো দেশকে ছাড়িয়ে গেছে তখন এ অর্থায়ন বন্ধের নির্দেশ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

মার্কিন গণনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে, ভাইরাসটিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সোয়া ৬ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ২৬ হাজারের বেশি। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ৩৮ হাজারের বেশি।

করোনা ইস্যুতে ডব্লিউএইচও’র ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ট্রাম্প। তার অভিযোগ, জাতিসংঘের এ সংস্থাটি করোনা মোকাবেলায় মৌলিক দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়, অথচ তাদের চীনমুখীতা দেখা যায়। করোনাভাইরাসের ব্যাপারে চীনের দেওয়া তথ্য নিয়ে তারা বিশ্বকে বিভ্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস আধানম গেব্রিয়াসুস এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গেব্রিয়াসুসের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রই সংস্থাটিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ সহায়তা দেয়। গত দেশটি ৪০ কোটি ডলার অর্থ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। অন্যদিকে চীন দিয়েছে তার প্রায় অর্ধেক।