প্রমান হলে ১০ বছরের সাজা

এবার মওলানা সাদ কান্ধলবির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলা

নিউজ ডেস্ক |

তাবলিগ জামাতের দিল্লি মারকাজের প্রধান মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে দিল্লির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

এ প্রসঙ্গে ইডির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। আমরা আর্থিক দিকটি তদন্ত করে দেখব। টাকার উৎস ও সংগঠনের সম্পত্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিষয়ে দিল্লি পুলিশের এক কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এর আগে সাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। এবার তার সঙ্গে ৩০৪ ধারা যোগ হলো। ফলে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এদিকে মাওলানা সাদ ও ভারতের তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে তার বেআইনি কোনো কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিনে সাদের নেতৃত্বে হওয়া সমাবেশকে ভারতের ১৭টি রাজ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার জন্য দায়ী করছে দিল্লি পুলিশ।

সেদিন নিজামুদ্দিন মারকাজ খালি করার দুটি নোটিশ মাওলানা সাদ অগ্রাহ্য করেছেন বলে অভিযোগ পুলিশের।

নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগে সাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে তিনি গা ঢাকা দেন। সে সময় বেশ কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালিয়েও তার খোঁজ পায়নি পুলিশ।

পরে এক অডিও বার্তায় মাওলানা সা’দ জানান, গত ২৮ মার্চ থেকে কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি। চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে তাবলিগ সদস্যদের সরকারি নির্দেশনা মানতে আহ্বান জানান।

এর পর গত ৮ এপ্রিল সাদের আইনজীবী জানান, কোয়ারেন্টিন শেষ হলে তদন্তে অংশ নেবেন তিনি।

সে হিসাবে গত ১৩ এপ্রিল তার তদন্তে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও তিনি প্রকাশ্যে আসেননি।

এদিকে গত ১০ এপ্রিল মাওলানা সাদের খোঁজ পাওয়ার দাবি করে দিল্লির পুলিশ।

ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজারপত্রিকার খবরে বলা হয়, দিল্লির জাকিরনগর এলাকায় যে বাড়িটিতে সাদ এখন রয়েছেন, সেটি শনাক্ত করতে পেরেছে তারা।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি

Print Friendly, PDF & Email