শিরোনাম :

  • বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫

'স্বৈরশাসকরা নিয়ন্ত্রণ জোরালো করছে'

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ আরও পেছালো

নিউজ ডেস্ক |

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাবিষয়ক বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের আরও একধাপ অবনতি হয়েছে। সূচকে থাকা ১৮০টি দেশের মধ্যে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১তম। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫০ তম। প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) মঙ্গলবার বার্ষিক এই সূচক প্রকাশ করেছে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার সময় ২০০৯ সালে বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৩ নম্বরে। অর্থাৎ ১১ বছরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ২৮ ধাপ পিছিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবার পেছনে।

বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক ২০২০ (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২০) –এ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে। শীর্ষ পাঁচ দেশের সবগুলোই ইউরোপের। তালিকার সর্বশেষ দেশ উত্তর কোরিয়া।

এই সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন মারাত্মকভাবে বেড়েছে। মাঠ পর্যায়ে সংবাদকর্মীদের ওপর রাজনৈতিক কর্মীদের হামলা, নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ এবং সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনা বেড়েছে বলে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার-এর বিশ্লেষণে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ‘২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বিচারিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে নির্বাহীরা। এই আইনে নেতিবাচক প্রচারণার শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড।

আরএসএফ-এর সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অবস্থান স্বভাবতই নিচের দিকে। দুই ধাপ নিচে নেমে ভারতের অবস্থান ১৪২ আর তিন ধাপ নিচে নেমে পাকিস্তানের অবস্থান ১৪৫। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর অবস্থান ভুটান ৬৭, মালদ্বীপ ৭৯, নেপাল ১১২, আফগানিস্তান ১২২ ও শ্রীলঙ্কা ১২৭।

আরএসএফ এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের নিরাপদে কাজ করতে পারা দেশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে আর স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরালো করা অব্যাহত রেখেছে।

পরপর চার বছর ধরে এই সূচকে প্রথম স্থান অর্জন করলো নরওয়ে। ২০২০ সালে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড। ডেনমার্কের অবস্থান তিনে, চতুর্থ অবস্থানে সুইডেন এবং পঞ্চম অবস্থানে নেদারল্যান্ডস। তালিকার নিচের দিকে সর্বশেষ অবস্থানে উত্তর কোরিয়া। এর পর ধারাবাহিকভাবে ওপরের দিকে রয়েছে তুর্কমেনিস্তান, উত্তর ইরিত্রিয়া, চীন, জিবুতি ও ভিয়েতনাম।