আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ, ভয়ে বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন ট্রাম্প
দেশনিউজ ডেস্ক।
কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। বিক্ষোভ দমাতে দেশটির ১৬টি স্টেটের ২৫টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এমনকি হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ করছে বিক্ষোভকারীরা। ওই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বিশেষ নিরাপদ বাঙ্কারে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তিনি প্রায় এক ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন।
শুক্রবার রাত থেকে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ হওয়ায় ট্রাম্পের পুরো পরিবারকে বাঙ্কারে পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ দ্য গার্ডিয়ান।
গতকাল রোববার নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের জেরে হোয়াইট হাউস লকডাউনে চলে যায়। ওই সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, তারা কখনোই ভাবেননি যে প্রেসিডেন্টের কোনো ধরনের ঝুঁকি ছিল। তবে ওই সময় উত্তেজনা বাড়ছিল। সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় এক ঘণ্টা বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন ট্রাম্প।
এর আগে ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনেইকে এই বাঙ্কারে নেওয়া হয়েছিল।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডের গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ১০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড নিশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’
এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তেই। এরপর প্রথম দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ থাকলেও এখন অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও তুমুল ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে তা সহিংস রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দেওয়া আগুনে মিনোপোলিস শহরের প্রধান পুলিশ স্টেশন পুড়ে গেছে। বিক্ষোভকারীদের দমাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ।