ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
ভারতমাতাকে অপমানের স্পর্ধা দেখালে উচিত শিক্ষা : মোদির হুঙ্কার
নিউজ ডেস্ক |
বিশটি দলের সর্বদল সম্মেলন শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধী নেতাদের জানিয়ে দেন যে, ভারতমাতাকে অপমান করার স্পর্ধা যারা রাখে তাদের উচিত শিক্ষা দিতে ভারত প্রস্তুত। লাদাখে ভারত – চীন সংঘর্ষ নিয়ে সর্বদল বৈঠকে মোদি আরও জানান, লাদাখে কুড়িজন ভারতীয় সেনার আত্মত্যাগ বুঝিয়ে দিল যে আরও সতর্ক থাকার অবকাশ আছে। প্রধানমন্ত্রী প্রকারন্তরে মিলিটারি ইয়েলিগেন্স এর ব্যার্থতার কথা অস্বীকার করে বলেন, চীনা সেনা ভারত ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি।
এদিকে চীনকে চরম শিক্ষা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব বিরোধী দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
বৈঠকে মোদি বলেন, ‘লাদাখে আমাদের ২০ জন বীর জওয়ান শহীদ হয়েছেন। কিন্তু, মৃত্যুর আগে তারা ভারত মাতার দিকে যারা চোখ তুলে তাকিয়ে ছিল তাদের চরম শিক্ষাও দিয়েছে।’
ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা সেনা ঢুকতেই পারেনি উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘আমাদের কোনও পোস্ট দখল হয়নি। কিংবা কেউ আমাদের সীমান্ত টপকে দেশের মধ্যে ঢুকেও পড়েনি।’
ভারতকে রক্ষা করার জন্য যা যা করার দরকার, তা ভারতীয় সেনাবাহিনী করেছে বলেও বৈঠকে মন্তব্য করেন মোদি। তিনি বলেন, জওয়ানদের ওপর পুরো ভরসা রয়েছে দেশের। আমি ওই বীর জওয়ানদের একথা বলতে চাই, পুরো দেশ আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।
সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমার, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ও এনপিপি প্রধান কনরাড সাংমা, ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন, বিজেডি নেতা পিনাকি মিশ্র। এছাড়া বিজেপি, এআইডিএমকে, টিআরএস, এলজেপি, বসপা, সপা, শিবসেনাসহ বিরোধী দলগুলোর নেতারা অংশ নেন। তবে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি আম আদমি পার্টি ও আরজেডিকে।
উল্লেখ্য, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে উত্তেজনার পর গত ১৫ জুন (সোমবার) উভয় পক্ষ সংঘাতে জড়ায়। ওই সংঘাতে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার কথা জানায় দিল্লি। আহত সেনার সংখ্যা অন্তত ৭৬। শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে, চীন কর্তৃক আটক ১০ ভারতীয় সেনা সদস্যকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে চীনের পক্ষ থেকে হতাহতের কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি এবং আটকের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে।
পূর্ব লাদাখ থেকে আরম্ভ করে ভারত – চীন সীমান্ত বরাবর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। সামরিক ভাবে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে বলে মোদি জানান। তিনি বলেন, সামরিকভাবে ভারত এক শক্তিশালী রাষ্ট্র. কেউ এই দেশকে দুর্বল ভাবলে ভুল করবে।
ডিএন/এফএন/বিএইচ