আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজত প্রধান ও নূর হোসাইন কাসেমী বেফাক সভাপতি হতে পারেন
দেশনিউজ রিপোর্ট |
হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) ও আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়ার প্রধান ছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। আমৃত্যু তিনি এসব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তার মৃত্যুর পর কওমি সংশ্লিষ্টদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই তিন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতৃত্বে কে আসবেন- তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
আহমদ শফী জীবদ্দশায় এই তিনটি জায়গায় নেতৃত্বে থাকলেও পরবর্তীতে কে আসবেন, তার কোনও ফায়সালা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আর এ কারণেই এসব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতৃত্বে কে আসবেন, তা নিয়েই মূলত আলেমদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নাগাদ আহমদ শফীর দাফন হওয়ার পর বিভিন্ন দোয়া কর্মসূচি পালনের পরই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের আলেমদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
আহমদ শফী তার জীবদ্দশায় অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত ও মনোনীত হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯৪৬ সালে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠানের মজলিসে শুরার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে দেশের সবচেয়ে বড় এ কওমি মাদ্রাসাটির শায়খুল হাদিসের দায়িত্বও তিনি পালন করেন। সর্বশেষ ১৬ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ছাত্র-বিক্ষোভের মুখে তিনি স্বেচ্ছায় মহাপরিচালক পদটি ছেড়ে দেন বলে জানায় মজলিসে শূরা। ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তাকে মাদ্রাসার সম্মানজনক ‘সদরে মুহতামিম’ পদে নিযুক্ত করে প্রতিষ্ঠানের মজলিসে শুরা। হাটহাজারী মাদ্রাসা ছাড়া বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
হেফাজতের প্রধান কে হচ্ছেন?
২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি দারুল উলুম হাটহাজারী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওলামা সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গঠন করা হয়। আহমদ শফী এর প্রতিষ্ঠাতা আমির মনোনীত হন। এরপর ২০১১ সালে তার নেতৃত্বেই ইসলামবিরোধী ‘নারী উন্নয়ন নীতিমালার বিরুদ্ধে’ চট্টগ্রামে কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। তখন শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নেতৃত্বে ঢাকায় আন্দোলন হয়। ২০১২ সালে এই দুই নেতার ইন্তেকালের মধ্য দিয়ে ঢাকার আলেমদের মধ্যে এক ধরনের নেতৃত্বহীনতা সৃষ্টি হয়।
হেফাজতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন চলাকালে ব্লগার থাবা বাবার ব্লগকে কেন্দ্র করে দুইটি বাংলা দৈনিক আমার দেশ ও ইনকিলাবে প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কওমি আলেমরা। একই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হাটহাজারী মাদ্রাসায় সারাদেশের সিনিয়র আলেমদের একটি বৈঠক ডাকেন আহমদ শফী। এই বৈঠক থেকে ৬ এপ্রিল ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি ডাকে হেফাজত। ‘নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি এবং ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারীদের কঠোর শাস্তির বিধানসহ ব্লাসফেমি আইন করার দাবিতে’ অনুষ্ঠিত লংমার্চ শাপলা চত্বরে এসে জমায়েত হয়। প্রথমবারের মতো ওই সমাবেশে সারাদেশের নজরে পড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে হেফাজতে ইসলাম। মতিঝিলের সমাবেশ থেকে হরতাল কর্মসূচির পাশাপাশি এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়ে ঢাকা ছাড়ে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। পরে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে আবারও মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়। এ দিন সারা দেশ থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ঢাকায় সমবেত হন। এটা ছিল মহা জগরণের মত। মহাসমাবেশ শেষে সেখানেই অবস্থান নেয় সংগঠনটির নেতাকর্মীর ও সাধারণ মুসল্লীরা । ওই সমাবেশে সহযোগিতা করতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আহ্বান জানালেও নেপথ্য থেকে সরকার নানা কলকাঠি নাড়ার কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠে নামেনি। ৫ মে দিনব্যাপী মতিঝিল-পল্টন-মালিবাগ এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাসহ ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা যুক্ত ছিল বলে দাবি করে । সেদিন রাতে সরকারের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে ক্লান্ত ঘুমন্ত মুসল্লীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোসহ রক্তাক্ত সাড়াশি অভিযান চালায়। শহীদ হন বহু হেফাজত কর্মী। আহত হন অসংখ্য কওমি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
পরদিন লালবাগের জামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থানরত আহমদ শফীকে পুত্র আনাস মাদানিসহ চট্টগ্রামে ফেরত ও হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর থেকে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে হেফাজতে ইসলাম। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সংগঠনটির আমির হিসেবে ছিলেন আহমদ শফী। তার মৃত্যুর কারণে এই সংগঠনটির প্রধান হিসেবে কেউ এখনও চূড়ান্ত না হলেও অনেকের নাম আলোচনায় আছে।
ঢাকার খ্যাতনামা একটি মাদ্রাসার শিক্ষক জানান, হেফাজতে ইসলাম নিয়ে ঢাকার আলেমদের তেমন কোনও আগ্রহ নেই। যেহেতু সাংগঠনিকভাবে এর প্রভাব-প্রতিপত্তি এখন প্রায় নেই, সেক্ষেত্রে সংগঠনটির প্রধান নিয়ে ঢাকার আলেমদের মধ্যে আগ্রহ কম। তবে, আমির হিসেবে জুনায়েদ বাবুনগরীকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে জানান এই তরুণ নেতা।
হেফাজতের প্রভাবশালী একাধিক নেতা মনে করেন, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী আমির হিসেবে বিবেচনায় থাকতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সরকারের কোনও একটি মহলের প্রভাব ও ভূমিকা থাকতে পারে বলে জানান কেউ-কেউ।
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে অনেকটাই অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন আহমদ শফী। দফায়-দফায় তাকে চট্টগ্রামে ও ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকবার মৃত্যুর গুজবও রটে। সর্বশেষ গত জুনে আনাস মাদানির ষড়যন্ত্রে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় সহকারি পরিচালকের পদ থেকে হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে আহমদ শফীকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এরইমধ্যে জুলাইয়ে আহমদ শফী ও বাবুনগরী একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা জানান। এরপরও গত একমাসে আনাস মাদানির বাড়াবাড়ি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণে আবারও পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে থাকে। সর্বশেষ গত বুধবার হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করার প্রেক্ষিতে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে অপসারণ ও আহমদ শফীকে মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে যেতে হয়।
ঢাকার একটি ইসলামী দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে নির্ধারণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
জানতে চাইলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলাবাদী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের নিজস্ব সাংগঠনিক পদ্ধতি আছে, গঠনতন্ত্র আছে। মজলিসে শূরার সদস্যরা মিলে এর ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এখানে সম্ভাবনা বা আশঙ্কা বলে কিছু নেই।’
বেফাকের সভাপতি হবেন যিনি, হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যানও তিনি
২০০৫ সালে বেফাকের সভাপতি মাওলানা নুরুদ্দীন আহমাদ গহরপুরীর ইন্তেকালের পর একই বছর বেফাকের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন আহমদ শফী। তখন থেকে আমৃত্যু তিনি বেফাকের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। একইসঙ্গে গঠনতান্ত্রিকভাবে বেফাকের সভাপতি হিসেবে ২০১৭ সালে সরকারি স্বীকৃত আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া’র চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। সেক্ষেত্রে বেফাকের সভাপতি যিনি হবেন, তিনিই হাইয়াতুল উলয়ার চেয়ারম্যান।
২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উল্লেখযোগ্য আলেমদের উপস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দেওয়ার ঘোষণা দেন। ১৩ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, শাখা-১) থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। স্বীকৃতি প্রদানের কারণে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের আলেম ও কওমি শিক্ষার্থীদের একাংশের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেয় আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া। বর্তমানে ৬টি বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের সব ক’টি দাওরায়ে হাদিস কওমি মাদরাসা আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়ার অধীনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। বেফাক এই ছয়টি বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও প্রণিধানযোগ্য প্রতিষ্ঠান। বাকিগুলো হচ্ছে বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া-গওহরডাঙ্গা, আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়া- চট্টগ্রাম, আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ-সিলেট, তানযীমুল মাদারিসিল কওমিয়া ও জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও হাইআতুল উলয়ার দায়িত্বশীলদের কথা বলে জানা গেছে, গত অন্তত চার মাস ধরে বেফাকের মহাসচিব আবদুল কুদ্দুসের একটি ফোনালাপকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ সমস্যা চলছে। এর প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটিও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়সহ একাধিকবার বোর্ডের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। যদিও দুই দফায় সে কমিটির বৈঠক পিছিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে ঢাকার আলেমরা ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কামরাঙ্গীর চর মাদ্রাসায় একটি ইসলাহী সমাবেশ করেন। সেখানে চার দফা দাবিতে একমত হন ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার অন্তত হাজারখানেক আলেম। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি ছিল, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেফাকের মজলিসে শুরা ও আমেলার বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ এবং সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখার জন্য ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গঠন। এছাড়া, সরকারের অনুদান না নিতে মাদ্রাসাগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয় সমাবেশে।
বেফাকের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য মাওলানা আবদুর রব ইউছূফী বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই বেফাকের সভাপতি নির্বাচন করা হবে।’
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়ার সদস্য মাওলানা ফরীদউদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘হাইয়াতুল উলইয়ার আইন আছে, সে আইনের ভিত্তিতেই হবে। প্রথম সমস্যা হবে বেফাকের সভাপতি কে হবেন। বেফাকের যিনি সভাপতি হবেন, তিনিই হবেন এই বোর্ডের চেয়ারম্যান।’
ঢাকার কয়েকজন আলেম বলছেন, বেফাকের সমস্যা সমাধান হলেই বাকি সমাধানগুলো দ্রুত হবে। তবে সরকারের মনোভাবও বেফাকের সভাপতি নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলবে, এমন দাবি করছেন তারা।
বেফাকের কয়েকজন দায়িত্বশীলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেফাকের বর্তমান মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুছ ইতোমধ্যে বিতর্কিত। হেলিকপ্টারে চলাচল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁসের কারণে তিনি বেকায়দায় রয়েছেন। সেক্ষেত্রে বেফাকের বর্তমান সহসভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী, নুরুল ইসলাম নতুন সভাপতি হিসেবে সামনের দিকে রয়েছেন। সরকারের প্রভাবশালী একজন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হযরত মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, সরকার সমর্থক হিসেবে বেফাকের বর্তমান সহ সভাপতি, যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেছেন কেউ-কেউ।
একইসঙ্গে মহাসচিব হিসেবেও নতুন মুখ দেখা যেতে পারে বেফাকে। সেক্ষেত্রে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল বর্তমান সিনিয়র সহকারি মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক অন্যতম বলে দাবি করেছেন বেফাকের একাধিক দায়িত্বশীল।
আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়টির সমাধান আসবে, এমন সম্ভাবনার কথা জানান বেফাকের একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা।