ব্লগার রাজীব হত্যায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন

0001নিজস্ব প্রতিবেদক: গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলায় নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম দীপের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।
এছাড়া মাকসুদুল হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং  মুফতি মো. জসীমউদ্দিন রাহমানীসহ পাঁচজনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজার আদেশ হয়েছে।

বাকি পাঁচজনের মধ্যে এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ ৫,০০০ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

মুফতি মো. জসীমউদ্দিন রাহমানীকে ৫ বছরের কারাদণ্ডসহ ২,০০০ টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরো দুমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আর সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে ৩ বছরের কারাদণ্ডসহ ২,০০০ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহমেদ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
গত সোমবার রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন বিচারক।
রাজীব হত্যা মামলায় ৫৫ সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হন রাজীব। ওই ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৫৫ জনকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী করা হয়।

মামলার আট আসামি হলেন— নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপ (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসান রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।

জসীমউদ্দিন রাহমানী ছাড়া সবাই নর্থ সাউথের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পলাতক রানাকে রাজীব হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে রানা পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

Print Friendly, PDF & Email