• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

হোসনি দালানে হামলা মামলায় আরো দু’জনের স্বীকারোক্তি

0-1নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পুরান ঢাকার শিয়া সম্প্রদায়ের হোসনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার জাহিদ হাসান রানা ওরফে মুসয়াব ও আরমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে, গত সোমবার জাহিদ হাসান ও মঙ্গলবার আরমান এ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ঢাকার মহানগর হাকিম ওয়ায়েজ কুরুনী খান চৌধুরী এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এ নিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। জাহিদ হাসান ও আরমানের আগে কবির হোসেন নামের এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখ গত মঙ্গলবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়ে বলেন, জাহিদ হাসান ও আরমান চকবাজারের হোসনি দালানে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরীহ জনগণকে হত্যা ও আহত করে।

জাহিদ হাসান, আরমান ও কবির হোসেন ছাড়াও এখন পর্যন্ত এ মামলায় আরো চারজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই কারাগারে আছেন।
ওই চারজন হলেন-চান মিয়া, ওমর ফারুক, আহসান উল্লাহ মাহমুদ ও মো. শাহজালাল।

আশুরা উপলক্ষে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় গত ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত দুইটার দিকে হোসনি দালানের পাশে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। এতে এক কিশোরসহ দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। ইসলামিক স্টেট ওই হামলার দায় স্বীকার করে।

সেটি ছিল বাংলাদেশে শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর প্রথম হামলার ঘটনা।
ওই বোমা হামলার ঘটনায় চকবাজার থানার উপপরিদর্শক মো. জালাল উদ্দিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনার এক সন্দেহভাজন শাহাদাত আলী বানী (৩৫) গত ২৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর দারুসসালাম থানার দ্বীপনগর বালুর মাঠ এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

Print Friendly, PDF & Email