• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ট্রাইবুনালে নুসরাত হত্যা মামলার বিচার শুরু ১০ জুন

ফেনী প্রতিনিধিঃ ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দায়ের করা চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামী ১০ জুন মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা পৌনে ১টার দিকে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এই সিদ্ধান্ত দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক মো. শাহ আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ফেনী কারাগার থেকে এই মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৬ আসামিসহ গ্রেফতারকৃত ২১ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে সিরাজ উদ দৌলাসহ নুসরাত হত্যা মামলার অন্য আসামিরা
আদালতে সিরাজ উদ দৌলাসহ নুসরাত হত্যা মামলার অন্য আসামিরা

অভিযোগপত্রে সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার হুকুমে নুসরাত হত্যায় পাঁচজনের সরাসরি অংশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, নুসরাত হত্যায় বাকি ১০ আসামিকে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বাদী নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, ‘আমি এবং আমার আইনজীবী অভিযোগপত্রটি পড়ে দেখবো সেখানে প্রকৃত অপরাধীদের যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে কিনা।’

নুসরাত হত্যাকাণ্ড ও যৌন নিপীড়ন মামলার আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল নুসরাতকে কৌশলে ওই মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নেয় অধ্যক্ষের সহযোগীরা। সেখানে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় মারা যান নুসরাত। এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মামলা করেন। ১০ এপ্রিল ওই মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই। বুধবার (২৯ মে) দুপুর সোয়া ২টার দিকে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ্দৌলাসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে ১২ আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়া ৯২ সাক্ষীর মধ্যে সাত জনের সাক্ষ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email