শিরোনাম :

  • শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

বেত্রাঘাতে শাস্তি দেয়ার বিধান বিলোপ হচ্ছে সৌদিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |

বেত্রাঘাতের মাধ্যমে লঘু অপরাধের শাস্তি দেওয়ার পদ্ধতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। একটি আইনি নথির বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি প্রকাশ করেছে বলে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট থেকে বেত্রাঘাতে শাস্তি বন্ধের একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বেত্রাঘাতের পরিবর্তে জেল বা জরিমানার মাধ্যমে দেওয়া হবে শাস্তি।

রাজা সালামান ও তার ছেলে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নানা সংস্কারমূলক কাজের অংশ হিসেবে বেত্রাঘাত বাতিলের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বলছে, ভিন্নমত দমনে দেশটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত। রাজপরিবারের সমালোচনা করলেই সৌদিতে নাগরিকদের জোরপূর্বক গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০১৫ সালে ব্লগার রাইফ বাদাউয়িকে জনসম্মুখে বেত্রাঘাতের ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ ও ইসলাম অবমাননার অভিযোগ ছিল। তাকে এক হাজার বার বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে তিনি মুমূর্ষু হয়ে পড়লে ও বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে পুরো শাস্তি কার্যকর করা থেকে বিরত থাকে সৌদি সরকার।

বেত্রাঘাত বতিলের সিদ্ধান্ত হলেও সৌদির সাধারণ মানুষের অধিকার খুব শিগগির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। গতকাল শুক্রবার দেশটির প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী আবদুল্লাহ আল-হামিদ জেলের মধ্যেই স্ট্রোক করে মারা যান। চিকিৎসায় অবহেলার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর তা সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করার কারণে সৌদি এক মহিলাকে ২শ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেয় সেদেশের আদালত। পাশাপাশি তাকে দেয়া হয়েছে ৬ মাসের কারাদণ্ড।

সৌদি আরবের শরীয়াহ আইন অনুযায়ী কোন নারী ঘর থেকে বের হলে তার সাথে কোন পুরুষ অভিভাবকে নিয়ে বের হতে হয়। তবে ধর্ষণের শিকার ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী ধর্ষিত হওয়ার সময় কোন পুরুষকে নিয়ে বের হননি বরং অনাত্মীয় যুবকের সাথে গাড়িতে ছিলেন। আক্রমণকারীরা ওই তরুণী আর তার বন্ধুকে একটি গাড়ি থেকে নামিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করেন। সাত ব্যক্তি মিলে সংঘবদ্ধধর্ষণ করে ওই নারীকে। তার বন্ধুকেও নির্যাতন করা হয়।

এ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ হয়। হয় সমালোচনাও।

ডিএন/আইডি/বিএইচ