রাস্তা থেকে তুলে নেওয়ার ৫ ঘন্টা পর সাংবাদিক সুমনকে গ্রেফতারের কথা জানালো ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৫ ঘন্টা পর ডিবি পুলিশ সাংবাদিক ইমরান হোসেন সুমনকে গ্রেফতারের কথা জানালো। একজন সংবাদ পাঠিকার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হলেও ওই মামলার এজাহারে সাংবাদিক সুমন বা অন্য কারো নাম নেই।

জানা গেছে সাইবার অপরাধ আইনে নারী সহকর্মীর দায়ের করা মামলায় এটিএন নিউজের সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ইমরান হোসেন সুমনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগ। এর আগে, অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে সুমনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে সংবাদ প্রচারিত হয় ।

রোববার (১৯ জুলাই) রাত ১২টার দিকে ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, ইমরান হোসেন সুমনকে পল্লবী থানায় সাইবার ক্রাইম আইনে তারই এক সহকর্মীর দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এখন ডিবি পুলিশের হেফাজতে আছেন।

জানতে চাইলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এটিএন নিউজের এক নারী কর্মী গত ১২ জুলাই সাইবার আইনে মামলা করেছিলেন। তবে এজাহারে কোনো আসামির নাম উল্লেখ ছিল না। মামলাটি গত ১৪ জুলাই ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। মামলা নম্বর ৩১ (৭) ২০। তবে আমরা সুমন নামে কাউকে গ্রেফতার করিনি।

ডিবির একজন সহকারী কমিশনার জানান, এটিএন নিউজের ওই নারী কর্মী পল্লবী থাকায় আইসিটি আইনে যে মামলাটি করেছিলেন, ওই মামলায় এক তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, সুমন নামে একজনের নির্দেশে তিনি ওই নারীকে নোংরা মেসেজ দিতেন। সে কারণেই রাতে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ডিবি।

এদিকে, কাউকে না জানিয়ে একজন সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টারকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর গ্রেফতার দেখানোর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্যরা। তারা বলছেন, সুমন কোনো পলাতক আসামি নন। তাছাড়া মামলার এজাহারে তার নাম নেই। কেউ একজন বললেন যে সুমনের নির্দেশে মেসেজ পাঠিয়েছেন, আর কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করতে হবে— এটি ঠিক নয়। ওই তরুণ তো মিথ্যাও বলতে পারেন।

ডিএন/সিএন/বিএইচ/০৬ঃ২২এএম/২০০৭২০২০-১

Print Friendly, PDF & Email