আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
বিচারক বললেন, মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ‘পূর্বপরিকল্পিত ছিল না'
বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত সকলেই খালাস
নিউজ ডেস্ক |
ভারতে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছে দেশটির একটি বিশেষ আদালত।
বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব রায় এ রায় ঘোষণা করেন। খবর এনডিটিভির।
প্রায় তিন দশক ধরে চলে আসা বাবরি ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত সকলকেই খালাস দিয়েছে দিয়ে বিচারক বলেন, মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ‘পূর্বপরিকল্পিত ছিল না’।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই’ বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও আরও বলা হয়, ‘সমাজবিরোধীরাই গম্বুজে ওপরে উঠেছিল। অভিযুক্তরা তাদের থামানোর চেষ্টা করেছিলেন।’
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল উগ্রপন্থী হিন্দু করসেবকরা। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলিমনোহর জোশী, উমা ভারতীর মতো নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উস্কানির অভিযোগ আনা হয়।
বাবরি ধ্বংস মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিঙ্ঘল, শিবসেনার বাল ঠাকরে, অযোধ্যার পরমহংস রামচন্দ্র দাসের মতো ১৭ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন।
প্রায় ২৮ বছর আগের ওই ঘটনা চিরকালের মতো বদলে দিয়েছিল ভারতের সামাজিক এবং রাজনৈতিক গতিপথ। এ নিয়ে ভারতে রীতিমতো হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় মারা যায় প্রায় দুই হাজার মানুষ।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হৃষীকেশের হাসপাতালে ভর্তি উমা ভারতী। মহামারীর মধ্যে বয়সজনিত কারণে লালকৃষ্ণ আদভানি এবং মুরলিমনোহর জোশী আদালতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন আদভানির সচিব দীপক চোপড়া।
আদালত ব্যবস্থা করলে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা আদালতে হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ সিংহ। তিনিও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই আদালতে হাজিরা দিতে চেয়েছেন।