আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
আইন থেকে বিরত থাকা ও ঈদের আগেই কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি বিএফইউজের
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের নামে ‘ডাটা প্রোটেকশন আইন’ প্রণয়নের সংবাদে উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’ নির্বাহী পরিষদ। এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আরেকটি অপচেষ্টা হিসেবে বর্ণানা করে এর থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পবিত্র ঈদ-উল আজহার আগেই সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, সাদাত হোসাইনসহ সকল কারাবন্দি সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করেছেন নির্বাহী পরিষদের নেতারা।
আজ শনিবার (১০ জুলাই, ২০২১) বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদের সভায় এ আহবান জানানো হয়। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ। সঞ্চালনা করেন মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সহ-সভাপতি রাশিদুল ইসলাম ও ওবায়দুর রহমান শাহীন, বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব নাসির আল মামুন, শহীদুল্লাহ মিয়াজী ও শফিউল আলম দোলন, কোষাধ্যক্ষ খায়রুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলম, দফতর সম্পাদক তোফায়েল হোসেন, নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন, জিয়াউর রহমান মধু, শামসুদ্দিন হারুন, মো. আবু বকর মিয়া, এ কে এম মহসীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সরদার আবদুর রহমান, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনা’র সভাপতি আনিসুজ্জামান, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি এম আইউব ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বাহারী, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের সাধারণ সম্পাদক আতিউর রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সভাপতি আইউব আলী ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে ঈদ-উল আজহার আগেই সব গণমাধ্যমে বেতন পরিশোধ ও বোনাস প্রদান এবং করোনার ব্যাপক ঝুঁকি ও কঠোর লকডাউনে সংবাদকর্মীদের স্বাস্থ্যগত ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া মহামারী করোনাকালে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে গণমাধ্যম কর্মীদের টিকা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার প্রদানের দাবি জানানো হয়। সভায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়নের সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গৃহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়, এমনিতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে মুক্ত সাংবাদিকতা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে নামে মূলত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার টুটি আরো চেপে ধরা হবে। কেননা, বর্তমানে প্রায় সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার অনলাইন সংস্করণ রয়েছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার হচ্ছে। কাজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের নামে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের ব্যবস্থা হচ্ছে। হঠকারী ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী এ ধরনের অপতৎরতা থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়ছে। – খবর বিজ্ঞপ্তির