শিরোনাম :

  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ‘প্রাণঘাতী’ রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশ ২৪তম

Online-Portalনিউজ ডেস্কঃ বিশ্বে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী রাষ্ট্রের তালিকায় ২৪তম স্থান দখল করেছে বাংলাদেশ। গত ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ ২৫ বছরে বাংলাদেশে নিহত হয়েছে মোট ২৫ জন সাংবাদিক। এ ছাড়া গোটা বিশ্বে নিহত হয়েছে ২২৯৭ জন সাংবাদিক। এ খবর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট। সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এ সংস্থাটির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াল দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইরাক। দেশটিতে গত ২৫ বছরে ৩০৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ফিলিপাইনে ১৪৬, মেক্সিকোতে ১২০, পাকিস্তানে ১১৫, রাশিয়ায় ১০৯, আলজেরিয়ায় ১০৬, ভারতে ৯৫, সোমালিয়ায় ৭৫, সিরিয়ায় ৬৭ ও ব্রাজিলে ৬২ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে গত ২৫ বছরে সাংবাদিকতা সংক্রান্ত কাজের জন্য নিহত হয়েছেন ২৫ জন সাংবাদিক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টার্গেট করে হত্যা, বোমা হামলা, যুদ্ধ ও সশস্ত্র সংঘাতের দরুন এসব সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তাদের হয় কোনো অপরাধী চক্র অথবা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারী কর্মকর্তারা হত্যা করেছে। শুধুমাত্র গত বছরই ১১২ জন গণমাধ্যম পেশাজীবী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছেন দুই জন। এরা হলেন দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মশিউর রহমান উৎস ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি আবু সায়েম। গত বছরের জুলাইয়ে সায়েমকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরেরদিন ঢাকার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জীবননগর উপজেলার সমকাল প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। ওই এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানির জন্য কুখ্যাত। সায়েম এ নিয়ে দৈনিক সমকালে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছিলেন। তাকে হত্যার আগে বেশ কয়েকবার হুমকিও দেয়া হয়েছিল। গত বছর ২৩শে ডিসেম্বর দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মশিউর রহমান উৎসকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশের একটি নির্জন এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। তার হত্যাকাণ্ডও মাদক সম্পর্কিত প্রতিবেদনের কারণেই হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। গত বছর বাংলাদেশে নিহত পাঁচ ব্লগারকে এ তালিকায় যুক্ত করা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিক হত্যার ১০টি ঘটনার একটির তদন্ত করা হয়। আইএফজে বলেছে, সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য হামলার বিচার না হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা আরও বেড়েছে। আইএফজে সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি সাংবাদিকদের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।