বরিশালে ৭ সাংবাদিকের ওপর  হামলায় বিএফইউজে’র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বিএফইউজে লগো

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী নিবাসে দুই শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ৭ জন সাংবাদিক হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন। হামলার সঙ্গে জড়িত দুই শিক্ষক ও অন্যান্যদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুুখি করার দাবি জানান বিএফইউজে নেতৃদ্বয়। আজ রবিবার (২৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বিএফইউেেজ নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নেত্রীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন দুই ছাত্রী। শনিবার নির্ডাতিত দুই ছাত্রীর জবানবন্দী নিচ্ছিলেন কর্তৃপক্ষ। এ সময় বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক নির্যাতিত ছাত্রী ও তাঁদের মায়ের বক্তব্য নিতে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষক সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন। টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাও ভাঙচুর করেন হামলাকারীরা।
লাঞ্ছিত সাংবাদিকেরা হচ্ছেন- চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের কাওসার হোসেন রানা ও রুহুল আমিন, এশিয়ান টিভির ফিরোজ মোস্তফা ও আজিম, সময় টিভির শাকিল মাহমুদ ও সুমন হাসান এবং বাংলা নিউজের মুশফিক সৌরভ।
বিবৃতিতে বিএফইউজে নেতারা বলেন, মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা যারা করেন তারা চিকিৎসার মতো মহান ও মানবিক পেশায় নিয়োজিত। তাদের কাছে মানবিকতা, ধৈর্য ও সংযম প্রত্যাশিত। সাংবাদিক ও চিকৎসকরা বরাবরই সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সংবাদকর্মীদের সঙ্গে দু’জন শিক্ষক যে আচরণ করেছেন তা দেখে আমরা বিস্মিত ও স্তম্ভিত। হামলার ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দুই চিকিৎসকের মারমুখি ও সন্ত্রাসী আচরণ দেখে বুঝতে কষ্ট হয়, তাঁরা শিক্ষার্থীদের কী শেখাচ্ছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কাউকে দৈহিকভাবে আঘাত করা এবং পেশাগত কাজে বাধা দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। এ অপরাধে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরী।
এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে ৭ জন সাংবাদিকের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএফইউজে’র অঙ্গ ইউনিয়ন বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাদ আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান হীরা। তাঁরা অবিলম্বে ঘটনার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
Print Friendly, PDF & Email