অহেতুক হয়রানি না করে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হতে বললেন রাষ্ট্রপতি

002নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বলেছেন, কোনো নাগরিক যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ‘জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনকালে কেউ যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।’
‘পুলিশ সপ্তাহ ২০১৬’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আবদুল হামিদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তাদের ট্যাক্সের টাকায়ই দেশ ও সরকার পরিচালিত হয়।’

পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনগণের কল্যাণে আপনাদের আরো নিবেদিত হয়ে কাজ করতে হবে।… আপনাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হবে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে জনগণের বন্ধু হয়ে উঠতে হবে।’

জনগণ যাতে তাদের প্রয়োজনে প্রথমেই পুলিশকে আস্থায় নিতে পারে, সেই অবস্থানে পৌঁছাতে এ বাহিনীর সদস্যদের তাগিদ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর কর্ম-কৌশল ও সাফল্য ইতোমধ্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসিত হয়েছে।

আমি আশা করি, আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, সংবিধান ও গণতন্ত্র সুরক্ষা এবং রাষ্ট্রবিরোধী সকল অপতৎপরতা রোধকল্পে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে।’

সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদকে ‘বৈশ্বিক সমস্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবেলায় বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদসহ সকল আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংঘবদ্ধ অপরাধ ও স্থানীয় পরিসরে নানা ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ এবং উদ্ঘাটনে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশিংয়ের কোনো বিকল্প নেই।’
অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেল হক খান ও পুলিশের মহা পরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email