আবারো বাড়ানো হচ্ছে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম

power centerনিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিদ্যুৎ মূল্য আবার বাড়ানোর কথা বলেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘লোকজনের জীবন যাত্রার মান বেড়েছে, তাই বিদ্যুৎতের মূল্য সম্বন্বয় করা উচিত।’

রোববার পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) আওতাধীন ৭৭টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মহা ব্যবস্থাপকদের সম্মেলনের শেষ দিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) অনুরোধ করবেন বলেও জানান তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জনগণ যেন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায় সেই চেষ্টা করতে হবে।’ প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী তিন চার বছরের মধ্যে সবাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে। দাম বৃদ্ধির সময় প্রান্তিক জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টিও ভাবা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে একই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বিইআরসি চেয়রাম্যান এ আর খানও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। মূল্য বৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে কমিশনে আবেদন করেছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র জনিয়েছে।

এদিকে গত বছরের ২৭ আগস্টই ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়, যা ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়। ছয় মাস যেতে না যেতেই আবারো বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায় সরকার।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বক্তব্য রাখেন। এ সময় আরইবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সব পবিস’র মহা ব্যবস্থাপকেরা উপস্থিত ছিলেন।

নসরুল হামিদ আরো বলেন, ‘১০ শতাংশ দুর্নীতি কমালে আরইবির অনেক সাশ্রয় হবে। তাই চলতি বছর আরইবির দুর্নীতি কমানোর চেষ্টা করতে হবে। আরইবির সিস্টেম লস ১২ শতাংশ থেকে দুই শতাংশ কমালে ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আরইবিকে সিস্টেম লসের কারণ চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করলে লোড ম্যানেজমেন্টসহ বিদ্যুৎ বিল আদায় সহজ হবে। দুর্নীতিও কমবে।’

Print Friendly, PDF & Email