• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির রিহার্সেল হল ইউপিতে

2016_05_14_17_15_02_9ALsHuEhYXY8EaefdxgOwciuWSmmXT_originalঢাকা, দেশনিউজ.নেট : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’র প্রস্তুতি হিসেবে ক্ষমতাসীনরা সদ্য শেষ হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ‘অনিয়মের রিহার্সেল’ দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

এ সময় ইউপি নির্বাচনে ইসির (নির্বাচন কমিশন) সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে এ পর্যন্ত ১৩২ লোক নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে অসংখ্য। এরপরেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলছেন, অবস্থার ভাল উন্নতি হয়েছে। তাহলে আমার প্রশ্ন, আর কতো লোক মারা গেলে অবস্থার অবনতি হবে?’

রোববার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির এক যৌথসভা শেষে এসব কথা বলেন আব্বাস।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘স্বঘোষিত প্রতিবন্ধী অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, বাজেট উচ্চাবিলাসী। মন্ত্রিসভায় এই ধরনের অসুস্থমন্ত্রী কতজন আছে কে জানে। এই ধরনের অসুস্থ মন্ত্রী দিয়ে কিভাবে বাজেট বাস্তবায়ন হবে? রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তাতে জনগণকে চেপে ধরা হবে।’

ঢাকা মহানগর বিএনপির ইফতার পার্টির আয়োজনের জন্য সংসদ ভবন এলাকা না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘মহানগর বিএনপির ইফতার পার্টিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার লোকের সমাগম হয়। এর আগে সংসদ ভবন এলাকায় ইফতার পার্টির আয়োজন করে আসলেও বিগত ৩ বছর ধরে সেখানে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। অধিকার থাকা সত্ত্বেও সে অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমনও হতে পারে যে, সরকার বলতে পারে- ঘরের মধ্যে একসঙ্গে চারজন মিলে ইফতার করতে পারবে না।’

দেশ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে আছে এমন অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধু রাজনীতিবিদরাই নয়, সাধারণ মানুষও আতঙ্কে আছে। সর্বত্র সন্ত্রাস, খুন-গুম-রাহাজানি চলছে। কারো কোনো নিরাপত্তা নেই।’ রমজানে মানবাধিকার ও মানবিক বিষয় বিবেচনায় নিয়েসাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারকে দায়ী করে মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারের পৃষ্টপোষকতা না থাকলে সিন্ডিকেট জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে পারতো না।

এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ‘সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে রাজধানীতে যানজট বেড়েছে। রাস্তা খোড়াখুড়ি এবং সময়ের কাজ অসময়ে করায় এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মহানগর বিএনপি নেতা ইউনুস মৃধা, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, মুন্সী বজলুল বাছেদ আঞ্জু প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email