কুমিল্লার মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আপীলে বহাল

images (15)নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের কোনও আদেশ দেননি (নো অর্ডার) আপিল বিভাগ। এর ফলে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিনাদেশ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

রবিবার (১২ আগস্ট) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর আদেশের দিন ধার্য থাকলেও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ কোনও আদেশ দেননি।

এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমানও।

পরে এহসানুর রহমান বলেন, ‘এ মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য বেশ কয়েকবার দিন ধার্য করেন কুমিল্লার আদালত। কিন্তু বারবার দিন নির্ধারণ করায় এ মামলায় খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ছয় মাসের জামিন পান। তবে রাষ্ট্রপক্ষ সেই জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানালেও এ বিষয়ে আদালত কোনও আদেশ দেননি। ফলে এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বহাল থাকছে। এছাড়াও এর আগে এ মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। সেই আবেদন এখন শুনানি অবস্থায় রয়েছে।

গত ৬ আগস্ট বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন আদেশ দেন। কিন্তু সেই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে এর ওপরে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে আদেশের জন্য রবিবার (১২ আগস্ট) দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

এর আগে ২০ দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে ৮ জন যাত্রী মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭ জনকে হত্যা ও নাশকতার পৃথক দুই মামলায় আসামি করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।

Print Friendly, PDF & Email