ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

পরীক্ষিৎ চৌধূরী: 

বাংলাদেশ পর্যটকদের মন কেড়েছে বহুকাল আগে থেকে। এদেশের প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনের খোরাক মেটায়। এ সময় কক্সবাজার, খাগড়াছড়ির সাজেক ভ্যালি, বান্দরবান, কুয়াকাটা, সিলেট, সেন্টমার্টিন, সুন্দরবন পর্যটকে ঠাসা থাকে। কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের হাওর সম্প্রতি সবার মনোমুগ্ধকর ভ্রমণ স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছে, একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আছে, আমাদের বিপুল জনবলও আছে। ট্যুরিজমের জন্য প্রয়োজনীয় এই তিনটি জিনিসই আমাদের আছে। জনবল তো ট্যুরিজমের প্রাণ। নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের রয়েছে অপার সম্ভাবনা।

ধীরগতিতে হলেও এ শিল্পের উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার কারণে পর্যটন শিল্পের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কমপিটিটিভনেস রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০তম দেখানো হয়েছে; যা ২০১৭ সালে ছিল ১২৫তম।

পর্যটন বাংলাদেশের জিডিপিতে ২০১৯ সালে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থাৎ ৭৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অবদান রেখেছে, পর্যটন রপ্তানির মাধ্যমে একই বছর ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে এবং এই সেক্টরে বর্তমানে নিয়োজিত আছে প্রায় ৪০ লাখ কর্মী। এই কর্মীদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে হোটেল ও বিমান মিলে ১০ শতাংশ ব্যবসায়ী করপোরেট শ্রেণির, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৮০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ প্রান্তিক শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।

এখানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটি প্রতিবেদন প্রণিধানযোগ্য। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ভেতরে বিশ্বব্যাপী ৩০ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে ট্যুরিজম খাতে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় পর্যটন শিল্পের সংযোজন শুধু আর্থিক সফলতা বয়ে আনছে না, সেই সঙ্গে স্থানীয়দের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে এর সুফল ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ কথা অনস্বীকার্য, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠতে পারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে।

সরকার ২০০৯ সালে ট্যুরিজম সেক্টরকে এসএমই এবং পুনঃঅর্থায়নযোগ্য খাত হিসেবে নির্ধারণ করেছে। পরে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক সেবা ও অগ্রাধিকার খাত হিসেবে নির্ধারণ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২৪টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এসএমই খাতের মধ্যে পর্যটনকে পঞ্চম স্থানে রেখেছে। ২০১৮ সালের ওআইসির আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঢাকাকে ওআইসি পর্যটন শহর-২০১৯ হিসেবে ঘোষণা হয়েছিল। এতে মুসলিম দেশগুলোর অনেক পর্যটকের কাছে বাংলাদেশ নতুনভাবে পরিচিতি লাভ করেছে।

কিন্তু কভিড মহামারির কারণে এ বছর স্থবির হয়ে পড়ে আমাদের পর্যটন শিল্প। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হচ্ছে, এ খাতে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪০ লাখ জনবল বেকার হয়ে পড়েছিল। করোনাভাইরাসের প্রভাবে বেশিরভাগ হোটেলে অতিথির সংখ্যা নেমে এসেছে ২ থেকে ৩ শতাংশে। এটি স্মরণকালের মধ্যে সর্বনি¤œ। ৩০ জুন প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘কভিড-১৯ ও দক্ষিণ এশিয়ায় পর্যটন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারিতে পর্যটন খাতের ক্ষতির কারণে জিডিপি থেকে ২০৩ কোটি ডলার (প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা) হারাতে পারে বাংলাদেশ। এর ফলে সরাসরি ৪ লাখ ২০ হাজার কর্মসংস্থান ও খাতের সঙ্গে জড়িত প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

কভিডের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যেমনÑদেশের পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থানগুলোতে কেবল বিদেশিদের জন্য স্বতন্ত্র পর্যটন এলাকা স্থাপন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণœ রেখে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক, দ্বীপভিত্তিক পর্যটন পার্ক ও হোটেল নির্মাণ এবং পর্যটকদের বিনোদনসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাসমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।

সম্প্রতি পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ায় আবার সবাই কর্মচঞ্চল হয়ে পড়েছে। ফলে পর্যটননির্ভর অর্থনীতি আবারও চাঙা হয়ে উঠেছে। একে আরও গতিশীল করতে এবারের বাজেটে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন খাতে ৩ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

যেসব পণ্য পর্যটনের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট, তাদের ওপর থেকে শুঙ্ক ও কর মওকুফ করে পর্যটন পুনরুদ্ধারে সরকার দৃঢ় প্রত্যয়ী। সংকট মোকাবিলার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ সদস্যের ‘পর্যটন শিল্পের সংকট ব্যবস্থাপনা কমিটি’ গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতির দ্রুত উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যতিক্রমী এই সেবার নাম ‘হোম স্টে’। ভ্রমণে গেরে হোটেল, মোটেল কিংবা রিসোর্ট নয়, পারিবারিক পরিবেশে দিন-রাত যাপন করার সুযোগ পাবেন পর্যটক। কভিড-১৯ পরবর্তী প্রেক্ষাপটে নিউ নরমাল অবস্থায় পর্যটকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ স্বল্প খরচে পর্যটন এলাকায় অবকাশ যাপনের জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সারা দেশে এই ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটন খাতে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সামাজিক ইকোট্যুরিজমভিত্তিক এই উদ্যোগ ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে। অধিকন্তু কমিউনিটি ট্যুরিজমের বিকাশ ঘটায় জনগণের সম্পৃক্ততাও অধিকহারে বাড়বে।

ট্যুরিজম বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট পর্যটন স্পট রয়েছে। একই এলাকায় একাধিক স্পটও রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায়ও রয়েছে পর্যটন স্পট। একাধিক পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে একটি ‘হোম স্টে’ সার্ভিস চালু করলে উদ্যোক্তারা করোনা পরিস্থিতি খুব দ্রুত সামাল দিতে পারবেন।

পাশাপাশি পর্যটনে আগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্যে মানুষের মধ্যে আস্থা গড়ে তোলারও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আস্থা পেলেই মানুষ নিশ্চিন্তে পর্যটনে আসবে। এ ক্ষেত্রে কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং বড় মাপের ভূমিকা রাখতে পারে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে সামাজিক মাধ্যমে প্রমোশন বাড়ানোর কাজও শুরু করা হয়েছে।

যথাযথ ব্র্যান্ডিংই পারে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে বিশ্বের সামনে নতুন করে তুলে ধরতে। ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য সরকার বেশ আগেই ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সরকার প্রতি বছর পর্যটন মেলার আয়োজন করছে এই লক্ষ্য নিয়েই। পাশাপাশি জেলাভিত্তিক ব্র্যান্ডিংও চলছে। দেশের সব কয়টি জেলার নানা দর্শনীয়, ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোর বিবরণসহ ভ্রমণের সুযোগ-সুবিধা এই ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকার এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করে পর্যটনের ব্র্যান্ডিং বাড়ানোর পদক্ষেপও সরকার নিয়েছে। ঢেলে সাজানো হচ্ছে সরকারি ওয়েবসাইটগুলোকেও। দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য আইকন তৈরি করে তার ব্র্যান্ডিং করা যেতে পারে। এই উদ্যোগকে নতুন গতি ও অভিনবত্ব যোগ করলে করোনা পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণ সম্ভব হবে। দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রচারণাও চলছে, টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে ট্র্যাভেল শো। দেশের বাইরে দূতাবাসগুলো থেকেও পর্যটনবিষয়ক তথ্য পাওয়ার সুযোগ বেড়ে গেছে।

গোটা বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) উদ্যোগে ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২০ যথাযোগ্য মর্যাদা ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। এবারের বিশ্ব পর্যটন দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট’ অর্থাৎ ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে পর্যটন শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জাতিসংঘের মতে, বিশ্বজুড়ে পর্যটকসংখ্যা ১৯৫০-এর দশকে ছিল ২ কোটি ৫০ লাখ। তা এখন বেড়ে ২০০ কোটিতে পৌঁছেছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোর দ্বারা উপার্জিত আয় ৫০-এর দশকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০১৫ সালে ১২ লাখ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

গত কয়েক বছরে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন বৈপ্লবিক নীতির সুবাদে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় পর্যটনের মতো বৈচিত্র্যময় কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগও অনেক বেড়ে গেছে।

পর্যটন একটি বহুমাত্রিক এবং শ্রমঘন শিল্প। এ শিল্পে সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়াও পরোক্ষ অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। দেশের প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রের আশপাশে বসবাসরত জনগোষ্ঠী তাদের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে উৎপাদিত পণ্য, তৈরি খাবার, বাড়িতে চাষ করা ফল বা সবজি পর্যটকদের কাছে বিক্রয় করছে, এ দৃশ্য অতি পরিচিত। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের বিভিন্ন ইউনিটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগণের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ডিউটি ফ্রি শপেও হস্ত ও কুটির শিল্পের বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় হয়। হোটেল ও মোটেলগুলোতে রিসিপশন, হাউজ কিপিং, কিচেন, এমনকি হোটেল ব্যবস্থাপক হিসেবেও বিপুল জনসংখ্যা কাজ করছেন।

পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে বাস্তবে অনূদিত করতে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে উৎসাহ জোগানোর ক্ষেত্রে সরকার সক্রিয় রয়েছে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কাজটি সরকার ভালোভাবেই করছে। দেশের পর্যটন কেন্দ্রে প্রতি বছর ভ্রমণ করছে প্রায় ৯০-৯৫ লাখ পর্যটক। এই শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে জাতীয় হোটেল ও পর্যটন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ অব্যাহত আছে। এখানে বছরব্যাপী পর্যটন বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির কম্প্রিহেনসিভ প্রাইভেট সেক্টর অ্যাসেসমেন্ট (সিপিএসএ) শীর্ষক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বাংলাদেশে পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণের উদ্দেশ্য নিয়ে আসে বিদেশিদের মাত্র পাঁচ শতাংশ।

অপার সম্ভাবনাময় আমাদের এই বাংলাদেশ হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার একটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্র, যা অর্থনৈতিক চাকাকে সচল করবে। সেই সঙ্গে বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশর ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সাহায্য করবে। পর্যটন পুলিশের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ছোট-বড় প্রায় আটশ’র বেশি পর্যটন স্থান রয়েছে। এসব স্থানকে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত করা গেলে তা এই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

Print Friendly, PDF & Email