আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
জয়ী হতে নয়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি ভোটে অংশ নেয় : ওবায়দুল কাদের
জয়ী হওয়ার জন্য নয়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি ভোটে অংশ নেয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মাধ্যমে বিএনপি প্রকারান্তরে নিজেদের পায়েই কুড়াল মারছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার সকালে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন ।
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হন।
‘সরকার দেশকে বিরোধী দলহীন করার চেষ্টা করছে’- বিএনপির এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের অব্যাহত এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও মজবুত করতে সরকার শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধী দল চায়।
বর্তমান সরকার সমালোচনায় ভয় পায় না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানান।
গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসনের অবসানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে কোনো একদলীয় শাসনব্যবস্থা নেই, আছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা, আছে কার্যকর সংসদ, অথচ বিএনপি মহাসচিব তথাকথিত একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
বিএনপি উন্নয়ন ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকেই ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সঙ্গে গোপন সখ্যতা গড়ে তুলে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়, তখনও বিএনপি প্রকাশ্যে একটি বাক্য বলারও সাহস দেখাতে পারে না, অথচ তারা বলেন, দলে নাকি মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেশি।
মির্জা ফখরুলকে আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে এখন দুর্দিন নেই, ভয়াবহ দুর্দিন চলছে আপনাদের রাজনীতিতে। বিএনপির রাজনৈতিক মনস্তত্ব এখন দুর্দশাগ্রস্ত। অপরাজনীতির জন্যই জনগণ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
হাতের তালু দিয়ে আকাশ ঢাকার অপচেষ্টা না করে বাস্তবতা মেনে ও দেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বিএনপি নেতাদের পরামর্শ দেন তিনি।
তাদের বর্ণচোরা আর গোপন ষড়যন্ত্রের রাজনীতির কারণে জনগণ মনে করে ভাস্কর্য অবমাননার মূলপরিকল্পনাকারী ও কুশীলব বিএনপি, বলেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশের মানুষ ও অর্থনীতি করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, অর্জন করেছে ঈর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি। গ্রাম থেকে শহরের প্রতিটি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন দৃশ্যমান।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মুজিববর্ষের মধ্যেই সারা দেশের পাড়া মহল্লায় শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। গোটা দেশ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে না ফের স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদ্রোহীদের মনোনয়ন দিলে তারা প্রশ্রয় পেয়ে যাবে, দলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। তাই এ বিষয়ে দল অনেক কঠোর।
দল করতে হলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সংসদ সদস্য এমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রমুখ।