শিরোনাম :

  • শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত আল্লামা সাঈদী

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি ১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।। তিনি ১৯৮২ সালে জামায়াতের রুকন হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি জামায়াতের মজলিশে শূরা সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। আল্লামা সাঈদী ২০০৯ সাল থেকে আজ অবধি জামায়াতের নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করছেন।

সংসদ সদস্য
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর ১ আসন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে পরপর দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাকে পরিকল্পিতভাবে হারিয়ে দেয়া হয়। তিনি মাত্র ৬,৯৯৬ ভোটে পরাজিত হন।

২০০১ সালে তিনি ১,১০,১০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুধাংশু শেখর হালদার ৭৬,৭৩১ ভোট পেয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর মাত্র তিনজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আল্লামা সাঈদী ৫৫,৭১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগে প্রার্থী সুধাংশু শেখর হালদার পেয়েছিলেন ৫৫,৪৩৭ ভোট।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে পিরোজপুরের আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের বায়তুল হামদ জামে মসজিদের পাশে দাফন করা হবে।

মঙ্গলবার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে এক পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ছেলে মাসুদ সাঈদী। মাসুদ সাঈদী স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, এখানেই শুয়ে আছেন তার (সাঈদী) কলিজার টুকরা বড় সন্তান রাফীক বিন সাঈদী, তার অত্যন্ত স্নেহের ছোট ভাই হুমায়ুন কবীর সাঈদী, তার কন্যাসম বড় পুত্রবধূ সুমাইয়া রাফীক সাঈদী।

এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই তার নিজ গ্রাম ইন্দুরকানীর সব হাট-বাজার বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার সকালেও কোনা দোকান-পাট খুলতে দেখা যায়নি।

এদিকে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টা ৮ মিনিটে তার লাশবাহী গাড়ি পুলিশ পাহারায় পিরোজপুর পৌঁছায়। সেখানে ঢল নামে মানুষের। জানা গেছে, সাঈদীকে পিরোজপুরের আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের বায়তুল হামদ জামে মসজিদের পাশে দাফন করা হবে। মঙ্গলবার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে এক পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ছেলে মাসুদ সাঈদী।

মাসুদ সাঈদী স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, এখানেই শুয়ে আছেন তার (সাঈদী) কলিজার টুকরা বড় সন্তান রাফীক বিন সাঈদী, তার অত্যন্ত স্নেহের ছোট ভাই হুমায়ুন কবীর সাঈদী, তার কন্যাসম বড় পুত্রবধূ সুমাইয়া রাফীক সাঈদী।