আচরণবিধি ভঙ্গের মহোৎসব হয়েছে: বিএনপি

003নিজস্ব প্রতিবেদক: পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে আচরণবিধি ভঙ্গের মহোৎসব চললেও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় লোকজনের বাধায় বিএনপির সব প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি।
যেসব স্থানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেসব স্থানে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা এবং অবিলম্বে কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার দাবি করেন আসাদুজ্জামান রিপন।

তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঢাকার ধামরাই, ময়মনসিংহের গৌরীপুর, ভোলার দৌলতখান, যশোরের কেশবপুর এবং বরগুনার বেতাগীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা উল্লেখ করেন।

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এসব ঘটনা প্রমাণ করে সেখানকার রিটার্নিং কর্মকর্তারা সরকারের ইশারায় দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার না করলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজও স্বীকার করেছেন যে কিছু জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। কমিশন থেকে বলা হয়েছে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তারা খতিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনে তাদের মনোনয়ন বাতিল করবেন। এখন জনগণ দেখতে চায়, সরকারি দলের ক’জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।’

আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করেন, ফেনী সদর, দাগনভূঞা, পরশুরাম পৌরসভার ৩৩টি কাউন্সিলর পদে অন্য কাউকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে দাগনভূঞা পৌরসভায় জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মেয়র পদপ্রার্থী সিরাজউদ্দিন দুলালের মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আর বিএনপির প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান পুলিশ পাহারায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার জামালপুর জেলায় যৌথ বাহিনী ৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এতে এলাকায় নির্বাচনের পরিবর্তে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। একই দিন নীলফামারী থেকে ৪৭ জন, সাতক্ষীরায় ৩৫ জন, চট্টগ্রামে ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান রিপন নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য আবারো গণগ্রেপ্তার বন্ধে নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন জসিম, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email