শিরোনাম :

  • সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসার আহবান খালেদা জিয়ার

02নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসার আহবান খালেদা জিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বর্তমান সরকারকে সেনাবাহিনীকে বিপথে নিয়ে তাদের চরিত্র নষ্ট করে দিয়েছে- এমন অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এই বাহিনীর সদস্যদের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে বলেছেন, তাদের জাগতে বলেছেন। সেনাবাহিনীর উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা জাগুন। আপনারা নিজের দেশের মানুষের দিকে তাকান। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে আসুন।
মঙ্গলবার রাতে গুলশানে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছাত্রদলের তিন নেতাকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া।

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষশষতাসীনরা লোক দেখানোর জন্য পৌরসভা নির্বাচন দিয়েছে। অথর্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।  এই নির্বাচন কমিশনকে বাদ দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিও জানান তিনি।

সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের জন্য আপনারা যে নীলনকশা ও ষড়যন্ত্র তৈরি করেছেন তার সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। ভাববেন না যে আমাদের কাছে কোনো তথ্য আসে না। তাই এ পৌর নির্বাচন বাদ দিয়ে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে প্রমাণ করুন জনগণ কাদের চায়।

খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ বলে বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের দল। কিন্তু বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে না। যখন দেশে জঙ্গি বেড়ে যায় তখন আওয়ামী লীগ নিরীহ মানুষদের ধরে নিয়ে গিয়ে জঙ্গি বানায়। আওয়ামী লীগ থাকলেই জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। আর জঙ্গিবাদ নিয়ে ফেসবুকে বেশি লেখালেখি হয় বলেই মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে নেয়ার জন্য ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছে।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ রক্তখেকো আখ্যায়িত করে খালেদা তাকে সাবধানও করে দেন। বিএনপি চেয়ারাপারসন বলেন, আমি বেনজীর আহমেদকে বলতে চায় মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। নাহলে এর পরিণতি ভালো হবে না। কারণ আপনারও ভাই-বোন রয়েছে।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে পুলিশকে নিরপেক্ষ করা হবে- এমন দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, পুলিশ কোনো খারাপ কাজ করেনি, হাসিনা যা বলেছে পুলিশ তাই করেছে। তাই পুলিশে যারা খারাপ ব্যক্তি রয়েছে তাদের কোনো শাস্তি দেয়া হবে না। কারণ, তারা এ দেশের সন্তান। এর নজির শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দিয়েছেন রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের বাদ না দিয়ে।

বিচার বিভাগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা শপথ নিয়েছেন ন্যায় বিচার করার জন্য। তাই ন্যায় বিচার করুন। অন্যায় বিচার করবেন না।
ছাত্র ও যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সময় এসেছে। এখন আমাদের জাগতে হবে। আপনারা জাগুন। আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। ন্যায় বিচার আমরাই পাবো।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান, আফরোজা আব্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।