ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
মানুষ হত্যা না করে সুস্থ রাজনীতির পথে ফিরে আসুন, খালেদাকে আশরাফ
মানুষ হত্যা না করে সুস্থ রাজনীতির পথে ফিরে আসার জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, গত বছর ৫ জানুয়ারির পর আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা-নাশকতার তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিলেন এদেশের মানুষ তা কখনো ভুলে যাবে না।
মঙ্গলবার বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সামনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৫ জানুয়ারির সমাবেশে এসব কথা বলে সৈয়দ আশরাফ। প্রথমে বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মেয়র সাঈদ খোকন। তার পর বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে স্থাপিত মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- কৃষিমন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজ,সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম।
এছাড়া আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নেতা কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ৬৪ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। কিন্তু কিসের জন্য করেছেন? গণতন্ত্রের জন্য মানুষ মারতে হয়না। গণতন্ত্রের জন্য গাড়ি পোড়াতে হয়না। বাংলাদেশের মানুষ তার ওই নাশকতা কোনো দিন ভুলে যাবে না।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, বিএনপির যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন তাদেরকে বলবো, অবিলম্বে পাকিস্তানি দালাল খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দিয়ে দলকে নতুনভাবে সাজান।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করে খালেদা জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনি মনেপ্রাণে পাকিস্তানি। তাই বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার তার থাকতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছিলো বলেই আজ দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আর এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
বক্তব্য দিতে এসে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, হরতাল অবরোধের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত মিলে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে যে অপরাধ করা করেছে,শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই রক্তাক্ত হাতের বিচার ঢাকাবাসী একদিন অবশ্যই করবে।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশ ও জাতির শত্রু । তারা গোপনে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।এই ষড়্যন্ত্র চলতে দেয়া যায় না। এখনই উৎকৃষ্ট সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা করে, গাড়ি পুড়িয়ে, আগুন সন্ত্রাস করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন পার্শ্ব সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মিছিল নিয়ে কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। পাশাপাশি বাদক দল বাদ্যযন্ত্র ও সঙ্গীত পরিবেশন করে।
৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর দুটি পয়েন্টে আজ সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও ধানমণ্ডির রাসেল স্কয়ারের জনসভায় জড়ো হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। রাসেল স্কয়ারের সমাবেশটি আগেই শুরু হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।