প্রধান বিচারপতির বক্তব্য অনুধাবন করে পদত্যাগ করুনঃ সরকারকে হাফিজ

hafiz-2নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম। বলেছেন, দেরীতে হলেও বিবেকের দংশনে প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তিনি সত্য কথা বলেছেন। মহামান্য প্রধান বিচারপতির বক্তব্য অনুযায়ী বর্তমান সরকার একটি অবৈধ সরকার। বর্তমান পার্লামেন্টও অবৈধ। আধুনিক কোন গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে মুহুর্তের মধ্যে ওই সরকার পদত্যাগ করত। তাই সরকারকে বলব, দলবাজি করে দেশকে ধ্বংস করবেন না। প্রধান বিচারপতি এজলাস অথবা এজলাসের বাইরে যেখানেই ব্যাখ্যা দিন, তিনি প্রধান বিচারপতি হিসাবেই দিয়েছেন। তাই প্রধান বিচারপতির বক্তব্য অনুধাবন করে পদত্যাগ করুন। নির্বাচন দিন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, আমাদের দেশে ভাল কাজটি দেরীতে হয়। এ  ধরনের অবৈধ সরকারের গায়ে লাগে না। তাদের একটা কথা, তোরা যে যা বলিস ভাই, ক্ষমতার মসনদ চাই। দেশে নাকি অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাহলে আপনাদেও ভয় কিসের। বিনা ভোটে অবৈধভাবে অনেকদিন ক্ষমতায় আছেন। মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, সেনাবাহিনীতে থাকাকালে আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্টাফ অফিসার ছিলাম। আমি তাকে কাছ থেকে দেখিছি, তার কোন উচ্চাকাঙক্ষা ছিল না। সাদামাঠা একজন মানুষ ছিলেন। জিয়াউর রহমানের মত চরিত্রবান কোন লোক আমি দেখিনি। রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকেও তিনি কোনদিন কোন দুর্নীতি করেননি। এটা খোদ তার চরম শত্রুরাও বলতে পারবে না। বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাড়ি বাড়ি খুঁজে খুঁজে পাক আর্মিরা তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই সময়ে পাকিস্তান আর্মিরাতো মুক্তিযোদ্ধাদেরই খুঁজেছে। আর তাকে আওয়ামী কিছু বুদ্ধিজীবী, যারা মুক্তিযুদ্ধেই যাননি তারা বলে বেড়ায় তিনি নাকি পাকিস্তানের বন্ধু। আমি বলব, বিএনপিতে যত রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা আছে, তা আওয়ামী লীগে নেই। বিএনপি হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের দল, আর আওয়ামী লীগ হচ্ছে শরনার্থীদের দল। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম সফিউজ্জামান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমিপ রাশেদা বেগম হীরা বক্তব্য দেন।

Print Friendly, PDF & Email