• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বাকশালও টিকবেনা, তাদের ধ্বংসের জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ লাগবেনাঃ পিনাকী

“ভাই এই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কইরা কত জামাত শিবির পিটাইছি; আর আজ আমাদের ছাত্রলীগের কাছেই মার খাইতে হইলো ভাই ?”

এটা হচ্ছে পিটানি খাওয়ার পরে ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত নেতাদের পদপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে কাতর জিজ্ঞাসা।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পিটানো যখন আপনাদের একমাত্র অর্জন তখন আপনিও আপনার প্রতিপক্ষের কাছে পিটানি খাইবেন। কারণ পিটানিকেই আপনি একমাত্র রাজনৈতিক বিরোধিতার অস্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবদের বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে শক্তিশালী কৌরবদের বিরুদ্ধে জিতিয়ে দিয়েছিলেন। এই অমিত শক্তিশালী কৃষ্ণ ছিলো যদুবংশের সদস্য। যদুবংশ তাদের সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলো। তাদের কোন শত্রুর ভয় ছিলোনা। কিন্তু এই যদুবংশও টিকে নাই। নিজেরা নিজেরাই মারামারি করে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো।

মহাপরাক্রমশালী রোমান সাম্রাজ্য টিকে নাই। কোন শত্রু তাদের আক্রমণ করে নাই। তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে গেছে।

বাকশালও টিকবেনা; তাদের ধ্বংসের জন্য কোন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ লাগবেনা। নিজেদের টেকানোর জন্য যেই সিস্টেম তারা গড়ে তুলেছে সেটাই তাদের ধ্বংস করবে। অপেক্ষা করেন শীঘ্রই সেই সিনেমার শুভমুক্তি। ছাত্রলীগের পদপ্রাপ্ত আর পদবঞ্চিতদের মারামারি সেই অনাগত সিনেমার ট্রেলার।

আমরা আম জনতা পপকর্ণ কেনার পয়সা নাই মুড়ির টিন নিয়া বইস্যা আছি। আপনারা চালায়ে যান। সিনেমার শেষ দৃশ্য না দেইখ্যা উঠতেছি না।

জয় বাংলা। বাকশাল সামলা।

# ফেসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহীত

Print Friendly, PDF & Email