• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

নজরুলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মিল দেখছেন হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অনেক মিল। দুজনেই বাঙালির মুক্তির জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

শনিবার (২৫ মে) জাতীয় কবির ১২০তম জন্ম বার্ষিকীতে কবির মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

হানিফ বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু দুজনেই ছিলেন পরম আশাবাদী মানুষ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতা নিয়ে এদের মত করে আর কেউ স্বপ্ন দেখেনি। সেই স্বপ্নকে কালি ও কলমের মাধ্যমে কবিতায় রূপ দিয়েছে নজরুল, আর বঙ্গবন্ধু করেছেন বাস্তব ।
নজরুলকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি আখ্যা দিয়ে হানিফ বলেন, নজরুল সাম্যের কবি। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলা চেয়েছিলেন, যে কারণে তার পাঠ এখনো প্রাসঙ্গিক। এই দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নজরুলের চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, নজরুল স্বদেশের মুক্তি প্রত্যাশা করতেন। লেখনীর মাধ্যমে তিনি ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সমগ্র ভারতের জনগোষ্ঠীকে জাগ্রত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সচেতনভাবে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে সম্প্রদায় নিরপেক্ষ সম্প্রীতিও প্রত্যাশা করেছেন।

নজরুল সঙ্গীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, সত্যিকার অর্থেই নজরুল একজন অনন্য প্রতিভা। বিশেষ করে সংগীতের জগৎকে উনি সমৃদ্ধ করে দিয়ে গেছেন। আমরা সত্যিই ভাগ্যবান যে নজরুল আমাদের জনপদে জন্মেছিলেন। বিশেষ দিবসে তাকে স্মরণ করতে হবে, একই সঙ্গে তাকে গভীর ভাবে পাঠও করতে হবে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তিত্বরা নজরুলের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এদিন কবি পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ কোন সদস্যকে সকালে মাজারে দেখা যায় নি।

শনিবার (২৫ মে) ১১ জ্যেষ্ঠ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী। বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ ভারতের বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে নজরুল জন্মেছিলেন।

এবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নজরুল-চেতনায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

শনিবার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির মাজারে ফুল দিয়ে সম্মান জানান সর্বস্তরের মানুষ। এছাড়া মাজার জিয়ারতের আয়োজন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

Print Friendly, PDF & Email