• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

আবারও সংসদে রুমিন ঝড়, ৩ দফা বাধা-ওয়াকআউট

সংসদ প্রতিবেদক : বিএনপির সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক এবং সংসদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠে সংসদ অধিবেশন। নির্ধারিত দশ মিনিটের বক্তৃতায় তিন দফায় বাঁধার সন্মুখীন হতে হয়ে বিএনপি এই সংসদ সদস্যকে।

রোববার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থ বৎসরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি দলীয় এই সদস্য এই বাধার সম্মুখীন হন।
এসময় ডেপুটি স্পীকার এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া সভাপতিত্ব করছেলেন। এর আগে বিকেল ৩ টায় দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিলেও এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দেননি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেছেন, এই সংসদের কেউ বলতে পারবে জনগণের প্রত্যেক্ষ ভোটে নির্বাচিত? কেউ বলতে পারবেন না। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি দলের সদস্যরা হই হই করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ডেপুটি স্পিকার তার বক্তব্য থামিয়ে বলেন, আপনি বাজেটের বাইরে এমন কোনো কথা বলবেন না যাতে সংসদ উত্তপ্ত হয়।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, এই সংসদে আসার আগে সংসদ নেতা বলেছিলেন আমাদের কথা বলতে দেবেন। কিন্তু আমার প্রথম বক্তৃতার দুই মিনিটের এক মিনিটও শান্তিমত কথা বলতে পারিনি। একই ঘটনা আজকেও।

কথা শুরু করার ৩৬ সেকেন্ডের মাথায় তার বক্তৃতা থামিয়ে দিয়ে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এমন কথা বলবেন না যাতে বিরোধী পক্ষ উত্তেজিত হয়।

পুনরায় বক্তব্য শুরু করে তিনি বলেন, আমরা কথা বলতে পারছি না। কোন গণতন্ত্রের কথা বলছি। আমি আমার দলের কথা বলব, তারা তাদের দলের কথা বলবে। আমি দাঁড়াবার সঙ্গে সঙ্গে পুরো সংসদ যদি উত্তেজিত হয়ে যায়। তাহলে কিভাবে কথা বলব।

পুরো দশ মিনিটের বক্তৃতায় অল্প কিছুক্ষণ শুধু সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা করেন। তার সেই আলোচনায় বলেন, ২০১০-১১ অর্থ বছর থেকে এ পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে ৭৬ শতাংশ। সরকারের সক্ষমতা দিন দিন কমছে।

নির্বাচন কমিশনে ব্যয় বাড়ানোয় সমালোচনা করে ব্যারিস্টার ফারহানা বলেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। কি নির্বাচন তারা করেছে? আমার একটা কথায় পুরো সংসদ উত্তপ্ত। কলামের পর কলাম লেখা হয়। এই সংসদে যারা আছেন তারা আল্লাহকে হাজির নাজির করে বলুক তারা জনগণের প্রত্যেক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন? তারা নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুক সবাই উত্তর পেয়ে যাবেন। বক্তৃতার ৪ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে আবারও বাধা প্রদান করা হয়। এভাবেই তার ১০ মিনিটের বক্তৃতা শেষ করেন।

পরে ডেপুটি স্পিকার তাকে উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি বাজেটের বাইরে ও সংসদীয় ভাষার বাইরে যে কথাগুলো বলেছেন তার সব কথা সংসদীয় প্রসিডিউর থেকে এক্সপাঞ্জ করা হল। এই কথা বলার পর বিএনপি’র সবাই অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যান। পরে অবশ্য আবার অধিবেশনে ফেরেন।

Print Friendly, PDF & Email