বিএনপি অফিসের চেয়ার টেবিল সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক: বয়সসীমা নির্ধারণ না করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদলের বিদ্রোহী গ্রুপ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় ভাঙচুর চালিয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে তারা এই ভাঙচুর করে।

সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত সহসভাপতি ইকতিয়ার কবির বলেন, ‘ভেতরে যারা আছেন তারাই চেয়ার, টেবিল ও সিসি টিভির ক্যামেরা ভাঙচুর করেছেন। আমরা যখন ভেতরে ঢুকতে যাই, তখন ভেতরে যারা ছিলেন, তারা কাপ-পিরিচ ছুড়ে মেরেছেন। এতে আমাদের একজন আহত হয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাদের হামলায় আমারও হাত কেটে গেছে।’

তবে বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, মূলত ছাত্রদলের বিদ্রোহী গ্রুপের কর্মীরাই এই ভাঙচুরে অংশ নেন।

ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ১৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় কাউন্সিলের পক্ষে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। ভাঙচুরের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর প্ররোচনায় তৃতীয় পক্ষ বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে বলে আমি মনে করি। আন্দোলনকারীরা ভাঙচুর করেছে এটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ, তারাও বিএনপির রাজনীতি করেন। তারা কেন ভাঙচুর করতে যাবেন।’

এর আগে দুপুর ১টার দিকে ইকতিয়ার কবির বলেন, ‘বয়সসীমা তুলে দিয়ে পুনঃতফসিল না হলে কাউন্সিল হতে দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকালের (বুধবার) মধ্যে দাবি আদায় না হলে অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনও ঘটনা ঘটলে, তার জন্য সিন্ডিকেট দায়ী থাকবে। আমরা ঘোষিত তফসিল বাতিল করে নতুন তফসিলের দাবি জানাচ্ছি।’

বেলা ১২টার দিকে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে তারা আমাদেরই ছোট ভাই। আমরা আশা করবো, সিনিয়র নেতারা যে তফসিল ঘোষণা করেছেন, তা মেনে নিয়ে তারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।’

ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসচিব মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এবিষয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। তবে শুধু বলতে চাই, ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ১৫ জুলাইয়ে কাউন্সিল হবে, সেই অনুযায়ী আমাদের কর্মকাণ্ড চলছে।’

বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুরের আগে নয়াপল্টনে হোটেল মিডওয়ের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ককটেলের আঘাতে একটি প্রাইভেটকারের কাচ ভেঙে যায়।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের একাংশ আন্দোলন করে আসছেন।

Print Friendly, PDF & Email