ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে: ড. কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ড, কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও ঐক্য ফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদ রহমান মান্না, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারী,জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল সালাম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সানোয়ার হোসেন, গনফোরামের এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, গনফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম, ঐক্য প্রক্রিয়ার মিলু চৌধুরী, গনদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমীরী বেগম ছন্দা, উপস্থিত ছিলেন গনস্বাস্থের ট্রাষ্ট ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির কার্যকারী সভাপতি সা. কা. ম. আনিসুর রহমান খান ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।

ড. কামাল হোসেন বলেন, নারী ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করবে- এটা কল্পনা করা যায় না। প্রতিদিন পত্রিকা খুললে পত্রিকার প্রতিটি পাতায় আমরা যে তথ্য পাচ্ছি এতে বুঝা যায় শুধু ঢাকা শহর না, প্রত্যেকটি জেলা শহরেই নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। বোঝা যায়, এদেশে ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। এসব ঘটছে দেশের আইনশৃঙ্খলা অবস্থার ঘাটতি থাকার কারণে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে একটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, সেই ঘাটতি দেশের মানুষের জন্য এবং আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গণফোরাম সভাপতি বলেন, আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র বিশ্বাস করি। সংবিধানে বলা আছে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র থাকবে। জনগণের মতামত থাকবে।

সংবিধানে যে মূল কথাগুলি স্বীকৃত আছে সেগুলোর মধ্যে আইনের শাসন থাকবে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকবে। এসব বিষয়ে কারো তো কোন মতপার্থক্য থাকার কথা না। আমরা যে যেই দলই করি না কেন যদি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোনো মতামত যাচাই করা হয়, তাহলে সবাই বলবে যে, সবকিছুর আগে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। আমরা তো কষ্ট করে এদেশ স্বাধীন করেছি, তার একটাই কারণ এদেশের জনগণ মালিকের ভূমিকায় থাকবে। এটা তো কেউ কেউ নিতে পারবে না। কিন্তু এদেশের জনগণ মালিক হওয়া সত্ত্বে¡ও তাদের বাদ দিয়ে সবকিছু করা হচ্ছে। আর এসব কথা বলতেও খারাপ লাগে, শুনতেও খারাপ লাগে যে- আমাদের দেশের নারীরা আজ ব্যাপকভাবে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।

ড. কামাল আরও বলেন, এ সরকারের একটা ন্যূনতম দায়িত্বে থাকা দরকার হচ্ছে দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। আমাদের এত কিছু অর্জনের পরও বলতে খারাপ লাগে যে, দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য আজ জনসভা করে দাবি করতে হয়। কিন্তু এটাতো দাবি করার বিষয় না।

Print Friendly, PDF & Email