আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
নেতাকর্মীদের দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক |
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল শনিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজার বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় প্রধানের এ আহ্বানের কথা জানান।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই কোভিডে জনগণের পাশে দাঁড়ানো, বন্যা-পরবর্তী সময়ে যে সমস্যা দাঁড়াবে, তার জন্য বন্যার্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব নেতাকর্মীদের দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন ম্যাডাম।’
গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসা ফিরোজায় গতকাল রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে ঈদের দিন সকালে ঈদের নামাজের পর বোন সেলিমা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতিমা বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসায় আসেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডাম এতই অসুস্থ যে নিজে বাসার নিচে নামতে পারেন না, হাঁটতেও পারেন না। তাঁর এখনো খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা। আসলে ম্যাডামের উন্নত চিকিৎসা যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে না। হাসপাতালেও যাওয়া যাচ্ছে না, এখানে যে পরিস্থিতি চলছে সব মিলিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থাটা ভালো নয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দলের নেতাকর্মীদের বিষয়ে কথা হয়েছে। তাদের পরিবার-পরিজনদের নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের ছেলেমেয়ের বিয়ে হয়েছে, অনেকে চলে গেছেন। সবকিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে, সুখ-দুঃখের আলাপ হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘কোভিড সংক্রমণের যে বর্তমান অবস্থা, বন্যার যে বর্তমান অবস্থা, দেশের অর্থনীতির যে পরিণতি হতে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের যে নিদারুণ কষ্ট আর কিছুদিন পরে কী অবস্থা দাঁড়াবে, সে নিয়ে কথা হয়েছে। আলোচনার বেশির ভাগ সময় ছিল কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতি অবস্থা ও বন্যা-পরবর্তী অবস্থা কী হবে, যেহেতু শোনা যাচ্ছে এবারকার বন্যা লংটার্ম বন্যা থাকবে। তাহলে দেশের বন্যাকবলিত মানুষের কীভাবে পুনর্বাসিত হবে, কৃষকরা কীভাবে থাকে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
শনিবার রাতের এ সাক্ষাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
ডিএন/পিএন/বিএইচ/০১ঃ২০পিএম/০২০৮২০২০-৮