আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
তৌহিদী জনতার মহাসমুদ্রে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হলো আল্লামা শফি (র.)
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি |
যে দিকে চোখ যায় শুধু টুপি পাঞ্জাবি পরা মানুষ আর মানুষ । এ যেন তৌহিদী জনতার মহাসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজার নামাজ ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেছেন তার বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ মাদানি।
শনিবার দুপুর দুইটায় হাটহাজারীতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মাদ্রাসা আঙিনায়ই দাফন করা হয় যুগশ্রেষ্ঠ এ আলেমে দ্বীনকে।
মাদ্রাসার ভেতরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ভীড়ের কারণে কফিন মাদ্রাসা মাঠ থেকে স্থানীয় ডাকবাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই নামাজে জানাজা পরিচালিত হয়।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় তার কফিনবাহী গাড়িটি মাদরাসা প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
আল্লামা শফীর মৃত্যুর খবরে শুক্রবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন লাখো ভক্ত অনুসারী। মুকুটহীন এ সম্রাটের মরদেহ পৌঁছানোর আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণসহ পুরো হাটহাজারী এলাকা।
চারদিক থেকে আসা মানুষের সহায়তায় রাস্তায় শুকনো খাবার ও শরবতসহ নানা পানীয় নিয়ে বিতরণ করছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। পুরো হাটহাজারীর সব প্রবেশ পথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
জানাজা শেষে হাটহাজারী মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বায়তুল আতিক জামে মসজিদের সামনের কবরস্থানে আল্লামা শফীকে দাফন করা হবে।
এদিকে যে কোনো পরিস্থিতি এড়াতে পুরো এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের। ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য আছেন হাটহাজারী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে।
এছাড়া ৪ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন ৭জন ম্যাজিস্ট্রেট। আজকের এই জানাজা সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বৃহত্তম জানাজায় পরিণত হয়েছে।