আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
অংশীদারি কোরবানির ক্ষেত্রে যা জানা জরুরী
ইসলাম ডেস্ক ।।
সামর্থ্য থাকলে একাই একটি বড় পশু কোরবানি দেওয়া যায়। তবে একটি গরু, মহিষ ও উটে সর্বোচ্চ সাতজন পর্যন্ত অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার সময় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। যাঁর সঙ্গে অংশীদারত্ব স্থাপন করবেন, তাঁর সম্পর্কে আগেই যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।
অংশীদারি কোরবানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অংশীদার সবার নিয়ত এক আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি কি না—তা যাচাই করা। তাঁদের মধ্যে কোনো একজনেরও যদি নিয়তে গলদ থাকে—যেমন কেবল মাংস খাওয়ার জন্য কোরবানি দিয়ে থাকেন, তবে কারও কোরবানিই কবুল হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ২০৮)
অংশীদারদের আয়-রোজগার হালাল কি না, তা দেখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হারাম টাকায় কোরবানি করলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তিনি হালাল ও পবিত্র বস্তু ছাড়া অন্য কোনো কিছু গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম: ২২১৫)
অংশদারি কোরবানির ক্ষেত্রে কোরবানির পশুর মাংস প্রত্যেককে নিজ ভাগ অনুযায়ী সমানভাবে বণ্টন করে দিতে হবে। কমবেশি হলে অংশীদারদের কারও কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ২০৭)
উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করা জায়েজ। (মুসলিম: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ২০৭)
কোরবানি করার জন্য উটের ক্ষেত্রে শর্ত হলো, বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের ক্ষেত্রে বয়স দুই বছর হতে হবে। (মুআত্তা মালেক: ৭৫৪)