শিরোনাম :

  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

গেইল ঝড়ে উড়ে গেল চিটাগং

1ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৮তম ম্যাচে বড় জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল বুলস। চিটাগং ভাইকিংসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ক্রিস গেইল-মাহমুদু্ল্লাহ রিয়াদের বরিশাল। ব্যাট হাতে প্রথম দুই ম্যাচে জ্বলে উঠতে না পারার আক্ষেপ এই ম্যাচেই মিটিয়ে দিয়েছেন ক্যাবিরীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। তার ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৫ ওভার হাতে রেখেই বড় জয় তুলে নেয় বরিশাল।

এর আগে ব্যাটিংয়ে শুরুর মতো শেষটা ভাল করতে পারেনি না চিটাগং ভাইকিংস। এনামুল হক বিজয় ও দিলশানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত শুরু হলেও বরিশাল বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত সাত উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তোলে চিটাগং।

বিপিএলের তৃতীয় আসরে দু’দলের মধ্যকার ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিজয় ও দিলশানের ব্যাটে শুরুটা দুর্দান্ত করে চিটাগং। ৫.২ ওভারেই দলীয় ৫০ রান তোলে দলটি। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৮ রান করে আল-আমিন হোসেনের শিকার হন দিলশান। দুই চার ও সমান ছক্কায় তিনি তার ইনিংসটি সাজান। এদিন নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে চিটাগংয়ের নেতৃত্ব দেন দিলশান।

দিলশানের পর নিজের ইনিংসও বড় করতে পারেননি এনামুল। শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানের সমান ২৮ রান করে সোহাগ গাজীর বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিওনের পথ ধনের তিনি। তার উইলো থেকেও আসে দুটি ছক্কা ও সমান চারের মার।

দুই ওপেনারের আউটের পর দ্রুতই আরও দুটি উইকেট খোয়ায় চিটাগং। দলীয় ৭২ রানে কেভিন কুপারের শিকার হন ইয়াসির আলী আর ১৩ রান পরেই মাহমুদুল্লার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন জীভান মেন্ডিস।

মাঝে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন উমর আকমল। ধীর গতির ব্যাটিং করলেও ভালো স্কোরের সম্ভাবনা জাগান এ পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তবে স্বদেশী মোহাম্মদ সামির স্পেলে ৩০ বলে ২৫ রান করে আউট হন তিনি।

ব্যাটিংয়ে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি নাঈম ইসলাম। নয় বল মোকাবেলা করে মাত্র চার রান করে কুপারের দ্বিতীয় শিকার হন বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার।

শেষ দিকে এসে আসিফ ও বিলওয়াল ভাট্টির ২৩ রানের ছোট পার্টনারশিপে মোটামুটি মানের পুঁজি পায় চিটাগং। বরিশালের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট পান সামি ও কুপার। আর একটি করে উইকেট নেন আল-আমিন, সোহাগ গাজী ও মাহমুদুল্লাহ।

১৩৬ রানের টার্গেটে বরিশালের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন ক্রিস গেইল আর রনি তালুকদার। ব্যক্তিগত এক রান করে রানআউট হন রনি। ওয়ানডাউনে নামা মেহেদি মারুফকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। টাইগার এ পেসারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে মারুফ ১৮ বলে দুটি চার আর একটি ছক্কায় ১৮ রান করেন।

দলীয় ৩১ রানে দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেও উইকেট বড় জুটি গড়েন গেইল আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা গেইলের সঙ্গে রিয়াদ জুটি বেধে অবিচ্ছিন্ন ১১০ রান যোগ করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

গেইল মাত্র ৪৭ বল খেলে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৯৫.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ক্যারিবীয় এ ওপেনার ৬টি চারের পাশাপাশি ৯টি ছক্কা হাঁকান। ২৫ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ। ১৫ ওভার ব্যাট করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।