শিরোপা জয়ে কুমিল্লার প্রয়োজন ১৫৭ রান

00001নিজস্ব প্রতিবেদক: শিরোপা জয়ের লড়াই। প্রস্তুত দুই দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও বরিশাল বুলস, সঙ্গে ভক্ত-সমর্থকরাও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টস পর্বে জয়ী হয়েছেন কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

বরিশালের বিরুদ্ধে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেটে ১৫৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দিয়েছে বরিশাল বুলস। শিরোপা জিততে কুমিল্লার দরকার ১৫৭ রান।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বরিশাল বুলস। দলীয় ১৯ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার মেহেদী মারুফ। ১৩ বলে ১১ রান করে তিনি কুমিল্লার পাকিস্তানী অলরাউন্ডার এশার জাইদির এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি।

এরপর প্রসন্ন ও হার্ড হিটার সাব্বির বড় জুটিরই আভাস দিয়েছিল। কিন্তু তা হতে দেননি মাশরাফি ও স্টিভেন্স। ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে স্টিভেন্সের বলে বোল্ড আউট হন সেকুজি প্রসন্ন।

এরপর বরিশালের আশা-ভরসার মূল জায়গা হার্ড হিটার সাব্বির রহমানও বিদায় নেন। এবার বল হাতে চমক দেখান কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১০.২ ওভারে সাব্বিরকে বোল্ড করে বিদায় করেন নড়াইল এক্সপ্রেস। ১৯ বলে মাত্র ৯ রান করেন আগের ম্যাচে ৭৯ রান করা সাব্বির।

চতুর্থ উইকেট জুটিতেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বরিশাল। যেখানে ব্যাট হাতে বোলারদের বেশ শাসিয়েছেন শাহরিয়ার নাফীস ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা সংগ্রহ করেন ৮১ রান।

দলীয় রান তখন ১৪৯। সজোরে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে কুলাসেকারার বলে বোল্ড হন মাহমুদুল্লাহ। তার আগে করে যান ৩৬ বলে ৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস।

শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। এর মধ্যে ছিল দুটি চার ও তিনটি ছক্কার মার। রিয়াদ ছিলেন একটু ক্লাসিক্যাল। তিনি চার হাঁকিয়েছেন ছয়টি, ছক্কা একটি। দুই বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন কেভিন কুপার। কুমিল্লার হয়ে জাইদি, কুলাসেকারা, মাশরাফি ও স্টিভেন্স একটি করে উইকেট লাভ করেন।

গত ২০ নভেম্বর বলিউড তারকা হৃতিক রোশন ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নয়নকাড়া উপস্থিতিতে পর্দা উঠেছিল বিপিএল তৃতীয় আসরের। তবে ময়দানী লড়াই শুরু হয়েছিল ২২ নভেম্বর থেকে।

দীর্ঘ ২৪ দিনের আনন্দযজ্ঞের বিপিএলের পর্দা নামবে আজই। সমাপনীতেও থাকছে কিছু বিভিন্ন শিল্পীদের গান ও আতশবাজি পর্ব। টস পর্বের আগেই মিরপুরে গান গেয়ে মাতান শুভ্র দেব ও ব্যান্ড দল ওয়ারফেজ।

খেলার মাঝ বিরতির সময়ও তারা গান করবে। ম্যাচ শেষে জয়ী দল ট্রফি হাতে নেয়ার পর শুরু হবে বর্ণিল আতশবাজি। সেই সঙ্গে পর্দা নামবে বিপিএলের তৃতীয় আসরের।

Print Friendly, PDF & Email