ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
৭৫% কর্মজীবী নারী যৌন হয়রানির শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেছেন, একটি জরিপে উঠে এসেছে যে প্রতি ১০০ জন কর্মজীবী নারীর মধ্যে ৭৫ জনই কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার। এই যৌন হয়রানি নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি থাকতে হবে।
২০০৯ সালে হাইকোর্ট এই কমিটি করার জন্য রায় দেন। কিন্তু খোদ সুপ্রিম কোর্টেই এই কমিটি হয়নি আজও। তিনি বলেন, কাউকে কিছু বলার আগে নিজের ঘর থেকেই কার্যক্রম শুরু করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে কমিটি করতে হবে। একই সঙ্গে সব গণমাধ্যমের কার্যালয়ে কমিটি করতে হবে।
যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এ কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি ও ল রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) যৌথ উদ্যোগে গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এলআরএফ সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ, নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক সংগঠন ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর বাবলুর রহমান, এলআরএফের সাবেক সভাপতি এম বদি-উজ-জামান, মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক অ্যাডভোকেট তৌহিদা খন্দকার, সহসভাপতি জোবায়দা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক সীমা জহুর, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি মাজহারুল হক মান্না, এলআরএফ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান রাজু, একাত্তর টিভির মিল্টন আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এলআরএফের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. মাসউদুর রহমান।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ আরো বলেন, যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করতে হবে। সংবাদপত্রের মালিক বা সম্পাদকদের নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করতে হবে। আইনজীবীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে। এটা নিয়ে বেশি বেশি করে কথা বলতে হবে। বলা শুরু হলেই যৌন হয়রানি কমে যাবে। তিনি বলেন, কমিটি করা হলেও যারা যৌন হয়রানি করে, তারা ভয়ে হলেও নিজেদের অবস্থান পাল্টাবে। এটা হলে দেখবেন, হয়রানির পরিমাণ ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে।