ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
ইবির ভর্তির ফলে বিভ্রাট : ফেল করা শিক্ষার্থীরা এখন মেধা তালিকায়
ইবি প্রতিনিধি |
দিনটি ছিল মঙ্গলবার,ন১২ ই নভেম্বর। ইবির এ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হবে এ আশায় অপেক্ষার পালা। শত অপেক্ষার প্রহর শেষে ঘড়িতে রাত ৮ টা ছুঁই ছুঁই…। কাংখিত ফলাফলের সময় ঘনিয়ে এল তখন, বুকটা ধুরু ধুরু করে কাঁপছিল তার। অনলাইনে প্রবেশ করে ফলাফলের নম্বরপত্র যখন দেখতে পেল তখন সব আশায় গুঁড়ে-বালি দিয়ে ভেতরটা হু হু করে উঠল, বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠল।মনে হলো মুহূর্তের মধ্যে সকল স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল। না, এরকম মুহূর্ত দেখার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলনা আবু সাঈদ। কারণ তার পছন্দের ধর্মতত্ত্ব অনুষদটি একমাত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিযুদ্ধে ধর্মতত্ত্ব অনুষদের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে নেতিবাচক এই ফলাফলের ঘটনা ঘটেছে মোহাম্মদ আবু সাঈদ নামে এই শিক্ষার্থীর।
জানা যায়, ৪ নভেম্বর ধর্মতত্ত্ব অনুষদের অধীনে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিল সে।যার আবেদনকৃত আইডি নং ১৯১১৪১২ এবং পরীক্ষার রোল ২০৩১।
পরে ১২ তারিখের ঘোষিত ফলাফলে “এমসিকিউ” তে ৪৫.৫ পেয়ে মোট নম্বর ৮৩.৫ পেলেও লিখিততে ০ পাওয়ায় ফলাফলে নিজেকে অকৃতকার্য হিসেবে দেখতে পায়।
আশানুরূপ ফলাফল না হওয়ায় পরামর্শ চেয়ে প্রাপ্ত নম্বরের স্ক্রিনশট দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে সে। সেখানে ঐ শিক্ষার্থী লিখিত ২০ নম্বরে ১৪ টি উত্তর সুনিশ্চিত দাবী করে কমপক্ষে ১০ পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে।
ব্যাপারটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির নজরে এলে ফলাফল পুন:নিরীক্ষণ করা হয়। পুন:নিরীক্ষিত ফলাফলে লিখিত পরীক্ষায় সে ১০ নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য থেকে উত্তীর্ণ হয়ে মেধাতালিকায় ৮ম স্থান লাভ করে।
যার ফলে পুরো ফলাফলে পরিবর্তন আসে। একইভাবে পুন:মূল্যায়নে অকৃতকার্য হওয়া আরো দুই শিক্ষার্থী মেধাতালিকায় স্থান পায়। তাদেরকে ক্ষুধে বার্তার মাধ্যমে মেধাস্থান নিশ্চিত করা হয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের নিয়ে নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা টেকনিক্যাল উপকমিটির সদস্য সচিব ড.পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ ও সংশ্লিষ্ট ইউনিটের সমন্বয়কারী ড.লোকমান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ফলাফল প্রক্রিয়াজাতকরণে টেকনিক্যাল সমস্যাজনিত কারণে সংখ্যাজনিত এই ভুল হয়েছে।ফলে লিখিত পরীক্ষায় ক্রমানুসারে সংখ্যাবিন্যাসে ১০ এর স্থলে শুধু ০ আসে। তারা অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের কারণে দু:খ প্রকাশ করেন এবং পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে বিষয়টি আরো সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণের আশ্বাস দেন।