ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান বিশিষ্টজনের
জর্ডানে তথ্য প্রযুক্তি আইনে বাংলাদেশী সাংবাদিক গ্রেফতার
নিউজ ডেস্ক |
বাংলা টিভি, আমাদের সময় ও জাগো নিউজের জর্ডান প্রতিনিধি সেলিম আকাশকে গ্রফতার করেছে দেশটির গোয়েন্দা পুলিশ। প্রবাসীদের খাদ্য সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন করার কারণে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তার ইন্ধনে সেলিমকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবার ও সহকর্মীদের।
গত সোমবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুরে সেলিমকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে জর্ডানের গোয়েন্দা পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি আইনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিপাকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়কটি গণমাধ্যমে সেলিম আকাশের পাঠানো প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। ‘করোনাভাইরাস ঃ জর্ডানে খাদ্য সংকটে ৩০ হাজার বাংলাদেশী’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি খাদ্য সংকটে রয়েছেন। বিপদে পড়া প্রবাসীদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত দূতাবাস কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে এক প্রবাসীর অভিযোগও এতে তুলে ধরা হয়।
সেলিমের পরিবারের অভিযোগ, এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেলিম আকাশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
জর্ডানে স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ বসবাস করে আসছেন সেলিম আকাশ। তার স্ত্রী জোনা আকাশ জর্ডান থেকে জাগো নিউজকে জানান, আকাশের বিরুদ্ধে বুধবার (১৫ এপ্রিল) পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে আদালতে হাজির করে।
সেলিম আকাশের সহকর্মী ও স্বজনরা জানান, মূলত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ইন্ধনের পরিপ্রেক্ষিতেই সাংবাদিক সেলিম আকাশকে আটক করে নিয়ে গেছে দেশটির পুলিশ।
তবে এ বিষয়ে জর্ডানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান জাগো নিউজের কাছে দাবি করেন, সেলিম আকাশ আটক হওয়ার বিষয়টি জানার পর এ বিষয়ে দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উত্তর আসেনি।
তিনি দাবি করেন, দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই প্রবাসী সাংবাদিকের নামে কোনো অভিযোগ দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে করা হয়নি।
নাহিদা সোবহান বলেন, আমরা এখনো জানি না তাকে কেন আটক করা হয়েছে। সেটা জানার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে জর্ডানে লকডাউন চলছে। এর মধ্যেও আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছি তার বিষয়ে খোঁজ নেয়ার।
করোনাভাইরাসের মতো পরিস্থিতিতে তাকে ধরিয়ে দেয়ায় দূতাবাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেলিমের সহকর্মী ও প্রবাসী অন্যান্য সাংবাদিকরা। তারা বলেছেন, ভোগান্তি নিয়ে প্রতিবেদন করার কারণে এভাবে সংবাদকর্মীকে গ্রেফতারে পুলিশকে উসকানি দিয়ে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন প্রবাসীদের সামনে।
প্রবাসী সাংবাদিকরা অবিলম্বে সেলিম আকাশের মুক্তির জন্য দূতাবাসকে আন্তরিকভাবে তৎপর হওয়ার দাবিও জানান।