শিরোনাম :

  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ

‘আমাদের রক্ষা করতে না পারলে আমরা রোগীদের রক্ষা করতে পারবো না’

নিউজ ডেস্ক |

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবন হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন দেশটির কয়েকশ’ নার্স। করোনা মহামারির লড়াইয়ে নিয়োজিত দেশটির মেডিক্যাল কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সরবরাহের দাবিতে এই বিক্ষোভ করেছেন তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, হোয়াইট হাউসের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের নার্সদের সংগঠন ন্যাশনাল নার্সেস ইউনাইটেড ইউনিয়নের নার্সরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছেন। দেশটিতে করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাকর্মীদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করতে প্রাদেশিক গভর্নর ও ফেডারেল সরকারের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

us-nurse.jpg

এ সময় সার্জিক্যাল মাস্ক পরে একজন নার্স সরকারের উদ্দেশে একটি চিঠি পড়েন। তিনি বলেন, আমরা এই মহামারির সম্মুখ সারিতে থাকা নার্স, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের অবিলম্বে পিপিই সরবরাহ করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

ওই নার্স বলেন, তোমরা যদি আমাদের রক্ষা করতে না পারো, তাহলে আমরা রোগীদের রক্ষা করতে পারবো না।

দেশটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে মৃত নার্স এবং চিকিৎসকদের ছবি দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের হাতে। এই ছবিতে দেখা যায় নানা ধরনের প্রতিবাদি লেখা। একজনের হাতে থাকা ছবিতে লেখা রয়েছে, ২০ সেকেন্ড তোমাদের হাত থেকে বীরদের রক্ত মুছে ফেলতে পারবে না।

যুক্তরাষ্ট্রে নার্সদের বৃহত্তম এই সংগঠনে নিবন্ধিত নার্স রয়েছেন প্রায় দেড় লাখ। দেশটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর প্রাণহানি ঘটেছে। বৈশ্বিক এই মহামারির লড়াইয়ে বিভিন্ন দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও দেখা দিয়েছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও অন্যান্য সরঞ্জামের তীব্র সঙ্কট।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস মৃত্যুপরীতে পরিণত করেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। দেশটিতে প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা।

এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় বিশ্বে সর্বোচ্চ ৪২ হাজার ৬৩৪ জন মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩০ জন। বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৯১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ ৫ হাজার ৪৮৫ জন। তবে চিকিৎসা শেষে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬৩৩ জন।

সূত্র: বিবিসি।