ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসনকে মৃত ঘোষণার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |
কদিন আগেই কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। একপর্যায়ে অবস্থার বেশ অবনতিও ঘটেছিল। সে সময় জনসনের অবস্থা এতটাই সংকটাপন্ন ছিল যে তার সম্ভাব্য মৃত্যুর কথা মাথায় রেখে সব পরিকল্পনাও তৈরি করে ফেলা হয়েছিল।
সম্প্রতি দ্য সানকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা নিজেই জানিয়েছেন জনসন। তিনি বলেছেন, সে সময় তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ডাক্তাররা লিটারের পর লিটার অক্সিজেন দিয়ে গেছেন। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুকে পেছনে ফেলে ঠিকই সুস্থ হয়েছেন তিনি। সোমবার কাজেও যোগ দিয়েছেন। এক মাস আগে তার শরীরে কভিড-১৯-এর উপস্থিতি ধরা পড়ে। ১০ দিন ডাউনিং স্ট্রিটে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। এরপর শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার কারণে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সেন্ট টমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে অক্সিজেন দিতে হয় এবং তিনদিন রাখতে হয় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে।
সে সময় অবস্থা পর্যালোচনা করে জরুরি ভিত্তিতে সম্ভাব্য পরিকল্পনা ঠিক করা হয় জানিয়ে জনসন বলেন, ‘ডেথ অবস স্ট্যালিনের’ মতো বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা সম্ভাব্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। এটা খুব কঠিন সময় ছিল, তা আমি অস্বীকার করব না। আমি একেবারেই ভালো অবস্থায় ছিলাম না। সম্ভাব্য পরিকল্পনার ব্যাপারেও আমি সচেতন ছিলাম। বাজে অবস্থা বিবেচনা করে ডাক্তাররাও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।
এদিকে জনসনকে ছেড়ে দেয়ার পর সেন্ট টমাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সেবা দিতে পেরে তারা আনন্দিত। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার অসুস্থতা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি। কেবল নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল।
সূত্রঃ দ্য সান