শিরোনাম :

  • রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ট্রাম্পের টুইটে সত্যতা যাচাইয়ের সতর্কতামূলক লেবেল জুড়ে দিলো টুইটার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি পোস্টে প্রথমবারের মতো ফ্যাক্ট-চেক (তথ্যের সত্যতা যাচাই) লেবেল জুড়ে দিয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। অর্থাৎ ওই পোস্টে ট্রাম্প যে তথ্য দিয়েছেন সে বিষয়ে সত্যতা যাচাই করে নেওয়ার জন্য সবাইকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্ট টুইটার।

বুধবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ডাকযোগে ভোটের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইটারে একটি পোস্ট দেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘ডাকযোগে ভোটের পদ্ধতি জালিয়াতির চেয়ে কমকিছু হবে বলে মনে হয় না।’

এমন অভিযোগ তোলার পরই ট্রাম্পের ওই পোস্টে সতর্ক চিহ্ন যুক্ত ফ্যাক্ট-চেক লেবেল জুড়ে দেয় টুইটার। ‘ভুল তথ্যরোধে’ সম্প্রতি এমন নীতি নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।

টুইটারের এমন পদক্ষেপের পর ট্রাম্প পাল্টা টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্টটির এ ধরনের পদক্ষেপ ‘স্পষ্টতই বাক স্বাধীনতা হরণ’।

‘ভুল তথ্য’ দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ হলে নির্দিষ্ট পোস্টের পাশে একটি নীল রঙের বিস্ময় চিহ্ন (!) যুক্ত করছে টুইটার। ট্রাম্পের ওই পোস্টে যুক্ত করা লেবেলে টুইটার লিখেছে, ‘ডাকযোগে ভোট সম্পর্কে যথাযথ তথ্য জানুন’। এই লেবেলেই ডাকযোগে ভোটের বিষয়ে সিএনএন, দ্য ওয়াশিংটন পোস্টসহ বেশকিছু সংবাদ মাধ্যমের লিঙ্ক যুক্ত করে দিয়েছে টুইটার। অনুসারীদের সতর্কতার সঙ্গে সেগুলো পড়ে তারপর ট্রাম্পের মন্তব্য যাচাই করতে বলা হয়েছে।

‘ভুল তথ্য’ বা ‘তথ্য বিকৃতিরোধে’ বেশ আগে থেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল টুইটার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে এর আগে গড়িমসি করতে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে। এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দেয় টুইটার।

আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে টুইটারের এমন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি টুইটারের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন।

সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে উঠে আসে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ৬৬ শতাংশ মানুষ আর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে চান না। এর বদলে তারা ডাকযোগে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের পাশাপাশি হোয়াইট হাউসেও বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে টুইটারে ওই মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প।