শিরোনাম :

  • সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫

আকাশের বিমান মরুভূমিতে

দেশনিউজ ডেস্ক।

করোনাভাইরাসের বিধি-নিষেধের কারণে ফ্লাইটের চাহিদায় ধস নামায় বাণিজ্যিক এয়ারলাইনগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, কোনো কোনো এয়ারলাইনস তাদের অনেক উড়োজাহাজ বিশ্বের একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বসিয়ে রেখেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় এয়ারলাইন্স কোয়ান্টাস তাদের সর্বশেষ বোয়িং ৭৪৭ বিমানটিকেও সিডনি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মোহাভি মরুভূমিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই বিমানটি আকাশে উড়ছিল প্রায় অর্ধ শতাব্দীকাল ধরে। এতে চড়েছে ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ থেকে শুরু করে ১৯৮৪ সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক টিমের সকল সদস্য বিমানটির যাত্রী ছিলেন।

কোয়ান্টাস তাদের এ-৩৮০ সুপার জাম্বো বিমানগুলোকেও অন্তত ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোহাভি মরুভূমিতে ফেলে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথাও ঘোষণা করেছে।

বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্স তাদের বিমানগুলোর উড়ান বন্ধ করে দিয়ে বসিয়ে রাখতে বেছে নিয়েছে শুস্ক মরুভূমির মতো প্রত্যন্ত এলাকাকে। কারণ, বিমানবন্দরের তুলনায় এসব জায়গায় বিমান রাখার খরচ অনেক কম। এ ছাড়া এসব জায়গায় দীর্ঘ সময়ের জন্য বিমান পার্ক করে রাখা যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে একটি বিমান কোথাও বসিয়ে রাখতে মাসিক খরচ পড়ে পাঁচ হাজার ডলারের মতো। মরুভূমিতে দুটো প্রধান জিনিস পাওয়া যায়; প্রথমত উন্মুক্ত বিশাল সমতল এলাকা। দ্বিতীয়ত, সেখানকার আবহাওয়া এরকম যে বিমানের ধাতব অংশগুলো সহজে ক্ষয় হয় না।

এক যুগ আগে ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কটের পরেও বিমানযাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছিল। সেসময় বসিয়ে রাখা হয়েছিল ১১% উড়োজাহাজ।

ডিএন/এএন/জেএএ/৮:২১এএম/৪৮২০২০৪