শিরোনাম :

  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

ফিলিস্তিনে শান্তি না ফিরলে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো চুক্তি নয়: সৌদি

দেশনিউজ ডেস্ক।

সৌদি আরব আরব আমিরাতের মতো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে না যতক্ষণ ইসরাইল ফিলিস্তনিদের সঙ্গে কোনো শান্তি চুক্তি করছে না।

এর আগে ১৩ আগস্ট মধ্যস্থতায় ‘রাজি হয়’ ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে এ ঘোষণা দেন। তবে এ বিষয়ে এরপর থেকে চুপ ছিল সৌদি আরব। 

বুধবার সেই নীরবতা ভাঙেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। 

জার্মানিতে এক সফরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গেই শান্তিতে পৌঁছাতে হবে। তারপর অনেক কিছুই সম্ভব হবে। 

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস এর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইসরালের পশ্চিম তীরে স্থাপনা নির্মাণ, এলাকা আত্মীকরণসহ তাদের আচরণের সমালোচনা করেন।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার পর ইসরায়েলের সঙ্গে তৃতীয় দেশ হিসেবে চুক্তি করল আরব আমিরাত। এর আগে ১৯৭৯ সালে মিসর এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডান চুক্তি করেছিল।

এই চুক্তি অনুযায়ী আগামী কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েল ও আমিরাতের প্রতিনিধিরা বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি বিমান চলাচল, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ এবং একে অপরের দেশে দূতাবাস স্থাপন নিয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করবেন।

চুক্তি ঘোষণার পর পরই এক টুইট বার্তায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “আজ বিশাল এক অগ্রগতি হলো! আমাদের অসাধারণ দুই বন্ধু ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।”

এই চুক্তি নিয়ে পরে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প আরও বলেন, “সবাই বলছিল, এটা অসম্ভব হবে…৪৯ বছর পর ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের কূটনীতিক সম্পর্ক পুরোপুরি স্বাভাবিক করবে।”

ইসরায়েল ও আরব আমিরাত মধ্যকার চুক্তিটি ‘দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান ও সমালোচনা’ করেছে ফিলিস্তিনের নেতৃবৃন্দ। এর প্রতিবাদে আরব আমিরাত থেকে নিজেদের দূতকে প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে দেশটি।

এই চুক্তিকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ‘আক্রমণ’ এবং ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে উল্লেখ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। 

খবর: দ্য টেলিগ্রাফ।

ডিএন/আইএন/জেএএ/১২:১৭এএম/১৯৮২০২০২৮