আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
ধর্ষণ মামলার আসামি ৪ শিশু মুক্ত, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব
আদালত প্রতিবেদক |
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা চার শিশুকে রাতের মধ্যেই এসি মাইক্রোবাসে করে তাদের অভিভাবকদের নিকট পৌঁছে দিতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এবিষয়ে যশোর জেলা প্রশাসককে পদক্ষেপ নিতে বলা হলে মধ্যরাতে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রচারিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো.মজিবুর মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রাতে এ আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, হাইকোর্ট তাদের জামিন নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন।
এরপর বরিশালের শিশু আদালত রাতেই তাদের জামিন দিয়েছেন। যশোরের জেলা প্রশাসককে যশোর পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র হতে এই ৪ জন শিশুকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে করে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে তাদের অভিভাবক এর নিকট পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে বরিশালের বাকেরগঞ্জ ওসি এ বিষয়ে টেলিফোনে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে অগ্রগতি প্রতিবেদন জানাতে বলেছেন। ’
গত ৬ অক্টোবর বাকেরগঞ্জ থানায় ছয় বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার আসামিরা ওই শিশুটির খেলারসাথী। ৪ অক্টোবর বিকেলে বাগানের মধ্যে খেলার সময় তাকে তিন আসামির সহযোগিতায় এক আসামি ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার আসামিদের একজনের বয়স ১১ ও বাকি তিন জনের বয়স ১০ বছর দেখানো হয়েছে। পরে বুধবার ৭ অক্টোবর বিকেলে তাদের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাকেরগঞ্জ আমলী আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
আদালতের বিচারক মো. এনায়েতউল্লাহ এক আদেশে আসামি চার শিশুকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, বরিশালের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আগামী রবিবার ১১ অক্টোবর হাইকোর্টে স্বশরীরে হাজির হতে হবে। একইসঙ্গে ৪ জন শিশুকে তাদের অভিভাবকদের নিয়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জের ওসিও হাইকোর্টে হাজির হতে হবে। এছাড়া বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে ভিকটিম শিশুর ধর্ষণ সংক্রান্ত মেডিকেল রিপোর্ট হাইকোর্টে পাঠাতে বলা হয়েছে।