ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
মিতু হত্যা : মোটরসাইকেলের মালিককে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ
চট্টগ্রাম, দেশনিউজ.নেট: পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিককে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার গভীর রাতে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন নামের ওই মোটরসাইকেল মালিককে আটক করা হলেও মঙ্গলবার পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,
জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই দেলোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এখনো তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। মিতু হত্যাকাণ্ডে তার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, মিতু হত্যা কান্ডে যে মোটরসাইকেলটি ব্যবহৃত হয়েছে সেই মোটরসাইকেলের নম্বরটি ছিল ভুয়া। একই নম্বরের মোটরসাইকেল প্রকৃত মালিকের কাছেই রয়েছে। উদ্ধারকৃত ‘চট্ট মেট্রো-ল-১২-৯৮০৭’ নম্বরের মোটরসাইকেলটি বিআরটিএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তথ্য মতে, মো. আবদুর রহিমের নামে নিবন্ধিত। তার পিতার নাম মৃত সৈয়দ আহমেদ। ঠিকানা-১৮/১৯ টেরিবাজার, সিটি টাওয়ার, চট্টগ্রাম। ২০১৪ সালে মোটরসাইকেলটির নিবন্ধন করা হয়। মোটরসাইকেলটি তার হেফাজতেই রয়েছে।
মিতু হত্যা মামলায় পরে উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বরের সূত্র ধরে এই মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক দেলোয়ার হোসেনকে নগরীর জামালখান এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। আটক মোটরসাইকেলটির প্রকৃত নম্বর চট্ট মেট্রো-হ-১৩-১৫৯৭। এর মালিক নগরির জামাল খান এলাকার মৃত গোলাম শরীফের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন। ২০১০ সালে গাড়িটি নিবন্ধন করা হয়।
এদিকে আটকের পর দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তিনি ২০১১ সালেই এই মোটারসাইকেলটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি এই মোটরসাইকেলের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। পুলিশ দেলোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখছে।
মিতু হত্যা এসএমএস নিয়ে প্রশ্ন ?
মিতু হত্যা মামলায় মিতুর কাছে আসা এসএমএস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারা এ এসএমএস পাঠিয়েছে। গণমাধ্যমে মিতুর কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে সময় পরিবর্তনের এসএমএস যাওয়ার খবর বেরোনোর পর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল কর্তৃপক্ষও নড়েচড়ে বসে।
গতকাল সকালে এ বিষয়ে স্কুলের অ্যাডমিন প্যানেল ও আইসিটি সেক্টরের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন অধ্যক্ষ। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল আবু নাসের মোহাম্মদ তোহা জানান, স্কুলের সময়সূচি অপরিবর্তিত আছে। নতুন করে অভিভাবকদের কাছে কোনো এসএমএসও পাঠানো হয়নি। তিনি জানান, কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের এসএমএস পাঠানোর ক্ষেত্রে তিনটি ধাপ অনুসরণ করে। প্রথমত, অ্যাডমিন প্যানেল এসএমএসটা তৈরি করে। তারপর সেটা তার দেখার পর আইটি সেক্টরে দেওয়া হয়। তাই অভিভাবকদের তার অগোচরে এসএমএস যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।